সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১২.৭৩ শতাংশ

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ১২.৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লেনদেন বাড়লেও কমেছে সব ধরনের মূল্য সূচক। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ টাকার শেয়ার। এই হিসেবে লেনদেনের ১২.৫১ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে .৭৫ শতাংশ।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক দশমিক .৬৭ শতাংশ বা ৩০দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে গতকাল ২৪ আগষ্ট অবস্থান করছে ৪৫৫৪ পয়েন্টে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ফরচুন সুজের আবেদন চলবে আর ১ দিন

fortuneনিজস্ব প্রতিবেদক :

ফরচুন সুজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমা নেয়া শুরু হবে ১৬ আগষ্ট । আর তা চলবে ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত। নির্দেশনা মোতাবেক আর একদিন এই আবেদন চলবে আর একদিন। স্থানীয় এবং অনিবাসী সব ধরনের বিনিয়োগকারীকে এ সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তিন দিন ছুটি পর ২৮ আগষ্ট শেয়ারবাজার খুলবে। আর এদিন হবে ফরচুন সুজ লিমিটেডের আইপিও আবেদনের শেষ দিন। এর আগে গত ২৯ জুন বিএসইসির ৫৭৯তম কমিশন সভায় আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে কোম্পানিটি মেরিনারিজ ক্রয়, ফ্যাক্টরি ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ এবং আনুষাঙ্গিক খরচ খাতে ব্যয় করবে।

২০১৬ সালের ৯ মাসের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ( ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা এবং নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) দাড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে থাকবে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সামিট পাওয়ারের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল বিএসইসি

bsec

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অনির্দিষ্টকালের জন্য সামিট পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে গতকাল রাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এ সিদ্ধান্ত জানায়।

জানা গেছে, একটি কোম্পানি তালিকাচ্যুতির বিষয়ে যথাযথ বিধি অনুসরণে ব্যর্থতার দায়ে তদন্তপূর্বক স্টক এক্সচেঞ্জের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানা গেছে, গতকাল লেনদেন শেষ হওয়ার পর উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও সামিট পাওয়ারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে বিএসইসি। বিএসইসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সামিট পাওয়ারের লেনদেন স্থগিতের বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার বিপরীতে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন নেয়নি কোম্পানি। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা না হলেও একীভূতকরণ কার্যকর ধরে এসপিপিসিএলকে তালিকাচ্যুত করে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এজন্য সামিট পাওয়ারের লেনদেন স্থগিত করার পাশাপাশি তদন্তপূর্বক স্টক এক্সচেঞ্জের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানা গেছে, গতকাল সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে (এসপিপিসিএল) তালিকাচ্যুত করে সামিট পাওয়ারের লেনদেন অব্যাহত রাখে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। একীভূতকরণের পর পরিশোধিত মূলধন নিয়ে সমস্যা থাকার বিষয়টি গতকাল লেনদেন শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে পড়লে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে জরুরি তলব করে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। বৈঠকের পর কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান জানান, বিষয়টি ডিএসই সাংবাদিক ও বিনিয়োগকারীদের অবহিত করবে।

জানা গেছে, সামিট গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ারের সঙ্গে সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার, সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার এবং সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার একীভূত হবে। এর মধ্যে সামিট পাওয়ার ও সামিট পূর্বাঞ্চল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। কিন্তু অন্য দুটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত নয়। শর্তসাপেক্ষে ১৪ জুলাই সামিট গ্র“পের তিন কোম্পানির একীভূতকরণের অনুমতি দেন হাইকোর্ট। এরপর একীভূতকরণে সিদ্ধান্ত নেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। কিন্তু একীভূতকরণের নিয়ম যথাযথভাবে মানেনি স্টক এক্সচেঞ্জ। এরপর কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুত করা হলেও লেনদেন চালু রাখার অভিযোগ উঠায় বিএসইসি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/