চীন থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি ঋণ শোধ করছে পাকিস্তান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সৌদি আরবের দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করতে চীন তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানকে দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার আজ সোমবার শোধ করার কথা। বাকি এক বিলিয়ন ডলার আগামী জানুয়ারিতে দেওয়া হবে। চীন পাকিস্তানকে এই ঋণ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ বা সেফ তহবিল থেকে দিচ্ছে না। এমনকি, এটি বাণিজ্যিক ঋণ হিসেবেও দেওয়া হচ্ছে না।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে আরও জানিয়েছে— ২০১১ সালের কারেন্সি সোয়াপ অ্যাগ্রিমেন্টের (সিএসএ) ভিত্তিতে চীন পাকিস্তানকে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ইউয়ান বা দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ হিসেবে দিবে। এর ফলে পাকিস্তানকে মোট ২০ বিলিয়ন ইউয়ান বা সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সুবিধা চীনকে দিতে হবে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে এবং স্বল্প সময়ের জন্যে আর্থিক ঋণ সহায়তা দিতে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান ও চীনের পিপলস ব্যাংক অব চায়না ২০১১ সালের ডিসেম্বরে কারেন্সি সোয়াপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিএসএ) সই করে। পরে, ২০১৪ সালে চুক্তিটি তিন বছরের জন্যে নবায়ণ করা হয়। সে সময় আর্থিক সহায়তার সীমা ধরা হয় ১০ বিলিয়ন ইউয়ান বা দেড় বিলিয়ন ডলার।

২০১৮ সালের মে মাসে চুক্তিটির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। সে সময় আর্থিক সহায়তার সীমা ধরা হয় ২০ বিলিয়ন ইউয়ান বা তিন বিলিয়ন ডলার। নিয়ম অনুযায়ী আগামী মে মাসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তান চুক্তিটি আরও তিন বছরের জন্যে বাড়ানোর অনুরোধ করেছে।

চুক্তি অনুযায়ী এই অতিরিক্ত দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ পাকিস্তানের সরকারি ঋণ হিসেবে গণ্য হবে না। এটি মূলত চীনের বাণিজ্যিক সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো মন্তব্য করেনি।

ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ হিসেবে সৌদি আরব সব সময়ই পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সখ্যতা বাড়ায় সৌদি সরকার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নীরব থাকতে শুরু করে। পাশাপাশি, ওআইসিতে ভারতের ভূমিকা থাকুক— এমন মতের পক্ষে অবস্থান নেয় সৌদি আরব।

সৌদি নেতৃত্বাধীন ৫৭ মুসলিম দেশের সংগঠন ওআইসি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছে না— এমন অভিযোগ নিয়ে ২০১৮ সালের আগস্টে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, যদি সৌদি আরব কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ওআইসির বৈঠক না ডাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীরিদের প্রতি সহানুভূতিশীল মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে আলাদা বৈঠক ডাকবেন।

কুরেশির এই বক্তব্যকে ঘিরে পাকিস্তান দীর্ঘ দিনের বন্ধুরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক তিক্ততায় জড়িয়ে পড়ে। বিশ্লেষকদের মতে, কুরেশির এমন বক্তব্যকে সৌদি নেতৃত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশটি।

পরিস্থিতি এতটাই তিক্ত হয় যে, সৌদি আরব তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানকে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি তার তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করতে চাপ দেয়। এছাড়া, সৌদি আরব পাকিস্তানকে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাকিতে তেল কেনার সুযোগও বন্ধ করে দেয়। এমনতাবস্থায় সৌদি আরব তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে পাকিস্তানকে এক বিলিয়ন ডলার গত জুলাইয়ে শোধ করতে বাধ্য করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মার্চে পূর্বাচলে হবে এবারের বাণিজ্যমেলা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকেই দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে পরিচিতি করার একটা মাধ্যম হিসেবে নেন বাণিজ্য মেলাকে। ক্রেতাদের মধ্যেও মেলায় যাওয়ার জন্য ব্যাপক উৎসাহ থাকে।

আগামী মার্চে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন ভ্যেনুতে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে। মেলা উদ্বোধনের জন্য এ সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

সম্প্রতি ইপিবির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ডকে জানিয়েছেন ইপিবির ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, রোববার বোর্ড মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেলা পূর্বাচলেই হবে। ২০২১ এর ১ জানুয়রি মেলা হওয়ার কথা ছিল। এটা এখন পিছিয়ে গেলেও মুজিববর্ষেই মেলার আয়োজন করবো আমরা।

মাহমুদুল হাসান জানান, রাজধানীর আগারগাঁও থেকে সরিয়ে পূর্বাচলে ‘বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ এ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সাধারণত প্রতিবছর ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) মেলা শুরু হয়।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকেই দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে পরিচিতি করার একটা মাধ্যম হিসেবে নেন বাণিজ্য মেলাকে। ক্রেতাদের মধ্যেও মেলায় যাওয়ার জন্য ব্যাপক উৎসাহ থাকে।

গতবারের ২৫ তম মেলায় ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সেখান থেকে কত টাকার রপ্তানি আদেশ এসেছে সেটা জানাতে পারেনি ইপিবি। তবে তার আগের বছর বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ পাওয়া গিয়েছিল ২০০ কোটি টাকার। মেলায় দর্শক এসেছিলেন ৫০ লাখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বছর শেষ না হতেই রেমিটেন্স ২০ বিলিয়ন ডলারে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বছর শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ বাকি থাকতেই ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবাহের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে এসেছে ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯ সালের পুরো সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিটেন্স আর কখনো আসেনি। ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। এই হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ১১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে (২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন) এসেছিল ৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। মহামারীর কারণে রেমিটেন্স কমে যাবে বলে ধারণা করা হলেও তা ঘটেনি। মহামারীর আঁচ বিশ্বের অর্থনীতিতে লাগার পর গত এপ্রিল মাসে রেমিটেন্স কমলেও এরপর আবার বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ বলেন, “মহামারীর এই কঠিন সময়েও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেড়েই চলেছে। আর এ কারণেই বছর শেষ না হতেই ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বছর শেষে তা ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছি।”

২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ছিল আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো এই অর্থ। দেশের জিডিপিতে সবমিলিয়ে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪২ বিলিয়ন (৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক ছুঁতে চলেছে।

রবিবার দিন শেষে রিজার্ভে ছিল ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রিজার্ভে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার ছিল। বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে সাড়ে দশ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। গত কয়েক বছর ধরেই রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। দশ বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে সেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত বছরের অক্টোবরে। চলতি বছরের ৩০ জুন সেই রিজার্ভ বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। অক্টোবরের ৮ তারিখে ছাড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের বিল পরিশোধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের উপরেই থাকবে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। সূত্র : বিডি নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৩৮ প্রবাসীকে সিআইপি করলেন মন্ত্রণালয়

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৮জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি-এনআরবি) হিসেবে নির্বাচিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

প্রতি বছর মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ক) বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, খ) বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, গ) বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি।

সিআইপি-এনআরবি সম্মাননা-২০১৮ এ বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী ক্যাটাগরিতে – ১ জন, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে – ৩০ জন, বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ৭ জনসহ সর্বমোট ৩৮ জন এ মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানে নির্বাচিত সিআইপিদের মাঝে সম্মাননা ও সিআইপি কার্ড প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপি (এনআরবি) গণ সিআইপি নির্বাচন নীতিমালা অনুযায়ী সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘ফেসবুকডটকমডটবিডি’ বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বরাদ্দকৃত বাংলাদেশে ‘ফেসবুকডটকমডটবিডি’র ওয়েবসাইট বন্ধের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত৷

আজ সোমবার ঢাকার জেলা জজ শওকত আলী চৌধুরী এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ওয়েবসাইটটি বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে বিবাদীদের প্রতি কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন বাদীপক্ষের চাওয়া স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ধার্য ছিল। আদালতে ফেসবুকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আরিফুল ইসলাম।

শুনানি শেষে আদালত ফেসবুকডটকমডটবিডি নামে বিটিসিএল থেকে বরাদ্দ নেওয়ায় ডোমেইনের ওপর অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন।

গত ২২ নবেম্বর ঢাকার জেলা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয় ফেসবুকের পক্ষ থেকে।

মামলায় ডোমেইনটির ক্রেতা এ ওয়ান সফটওয়্যার এবং এসকে শামসুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে। এ ডোমেইনটি যাতে হস্তান্তর করতে না পারে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার আবেদনও দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ‘ফেসবুক ডটকম’ হচ্ছে ফেসবুকের মূল ডোমেইন। তবে এর সঙ্গে প্রত্যেক দেশের নিজস্ব নামের এক্সটেনশন যোগ করেও ব্যবহার করা যায় ফেসবুক। বাংলাদেশে ‘ফেসবুকডটকমডটবিডি’ দিয়ে তাই প্রবেশ করা যায় ফেসবুকে। তবে বাংলাদেশে শুধু ফেসবুক ডটকম নামেই ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি ফেসবুকের মূল ডোমেইনটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের (বিটিসিএল) কাছ থেকে পেটেন্টসহ কিনে নেয়।

এবার যখন কোডসহ ‘ফেসবুকডটকমডটবিডি’ নামে ডোমেইন নিতে গিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে। কারণ এ নামটি ২০০৮ সালেই নিজেদের নামে নিবন্ধন করে রেখেছিলেন ‘এ ওয়ান সফটওয়্যার’ ও এসকে শামসুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কান্ট্রি কোডসহ নামটি নিবন্ধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

এমতাবস্থায় এ ওয়ান সফটওয়্যারের কাছ থেকে এ ডোমেইন কেনার চেষ্টা করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে এ ডোমেইনটির দাম ছয় মিলিয়ন ইউএস ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫১ কোটি টাকা। সেই ডোমেইনটি বিক্রির জন্য দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনও।

এমতাবস্থায় দফায় দফায় আইনি নোটিশ দিয়েও ডোমেইনটি কেনার বিষয়ে সামনের দিকে এগুতে পারেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তাই ‘ফেসবুকডটকমডটবিডি’ ডোমেইনটি পেতে চূড়ান্তভাবে আইনি লড়াইয়েই নামে প্রতিষ্ঠানটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আজ সোমবার কোম্পানিটির ৬৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার।

লেনদেনের তালিকার কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আইএফআইসি ব্যাংক ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এস.এস. স্টিল ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার, ম্যারিকো বাংলাদেশ ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের লেনদেন হয় ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে ১৪ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ২৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৪৩৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৬ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এসএস স্টিল ২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্যাংক এশিয়া ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- একমি ল্যাবরেটরিজ, ব্যাংক এশিয়া, বারাকা পাওয়ার, ব্রাক ব্যাংক, ঢাকা ডাইং, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস, আইডিএলসি, কেপিপিএল, ম্যারিকো, এনসিসি ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রেকিট বেনকিজার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স,সমতা লেদার কমপ্লেক্স, সিঙ্গার বিডি, এসকে ট্রিমস, সামিট পাওয়ার ও ইউপিজিডিসিএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. বেক্সিমকো ফার্মা
  3. ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস
  4. আইএফআইসি ব্যাংক
  5. এস.এস. স্টিল
  6. ম্যারিকো বাংলাদেশ
  7. রূপালী ইন্স্যুরেন্স
  8. পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
  9. স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস
  10. লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন কমলেও বেড়েছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে লেনদেন কমলেও সূচক বেড়েছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়

রবিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫১৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১১.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৯২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮১৩ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ১০০৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৫৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২২টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৭০টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, আইএফআইসি ব্যাংক, এস.এস. স্টিল, ম্যারিকো বাংলাদেশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৯৯.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১১৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা ও ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এনবিআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ৪ উদ্যোক্তা সিআইপি নির্বাচিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল। এছাড়া ব্যাংকের আরও ২ জন পরিচালক ও একজন উদ্যোক্তা সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ জন্য তাদের সিআইপি নির্বাচিত করেছেন সরকার।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বলে এনআরবিসি ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, বৈধপথে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে রাশিয়ার প্রবাসী ও এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল এই গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা পেয়েছেন।

আরো জানা যায়, বরিশালে জন্মগ্রহণকারী  এই উদ্যোক্তা রাশিয়ার মস্কো ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ইকোমিক্স থেকে পোস্ট গ্রাডুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন।  তিনি রাশিয়াতে প্রযুক্তি ও রিয়েল স্টেট হোল্ডিংস এবং লজিস্টিকস কনসালটেশন ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করেন।  ২০১৩ সালে অন্য প্রবাসী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এনআরবিসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পারভেজ তমাল।

এবার নির্বাচিত আরেক সিআইপি হলেন এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আদনান ইমাম। যুক্তরাজ্যের নাগরিক আদনান ইমাম লন্ডন ও ঢাকায় রিয়েল স্টেট, আইটি, প্রাইভেট ইক্যুয়িটি, পোশাক ও বস্ত্রখাতের সফল ব্যবসায়ী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী ও ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ ওলিয়ার রহমান ও ব্যাংকের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ এমাদুর রহমানও একই ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন। তারা দুবাইয়ে বিখ্যাত আল হারামাইন গ্রুপের উদ্যোক্তা।