গেইনারের শীর্ষে স্টাইল ক্রাফট

style-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহের মোট লেনদেন ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবস শেয়ার দর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। পুরো সপ্তাহে ৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে, সপ্তাহের লেনদেন ২৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

গেইনার তালিকায় থাকা এমবি ফার্মাতে ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেডে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, কাশেম ড্রাইসেলে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, বিচ হ্যাচারিতে ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং আল হাজ টেক্সটাইলে ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ দর বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

রফতানিতে এগিয়ে এপেক্স ফুডস ও ট্যানারি এবং শাশা ডেনিমস

epbনিজস্ব প্রতিবেদক :

রফতানিতে এগিয়ে থাকার জন্য জাতীয় রফতানি পদক পাচ্ছে তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানি। স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ- এ তিন শ্রেণিতে ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য ৬০ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য মোট ৫১ কোম্পানিকে এ ট্রফি দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে শেয়ারবাজারে যে সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে – স্কয়ার টেক্সটাইলস, এপেক্স ফুডস, এপেক্স ট্যানারি, বেক্সিমকো ফার্মা, শাশা ডেনিমস ও স্কয়ার ফার্মা। এর মধ্যে এপেক্স ফুডস ও এপেক্স ট্যানারি ও শাশা ডেনিমস পর পর দুবছর এই পদক পেল।

রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জাতীয় রফতানি ট্রফি পাচ্ছে ১১১ প্রতিষ্ঠান। স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ- এ তিন শ্রেণিতে ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য ৬০ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ৫১ কোম্পানিকে এ ট্রফি দেওয়া হচ্ছে।

পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে রফতানির পরিমাণের পাশাপাশি পরিবেশসম্মত উৎপাদন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও ব্যাংকিং লেনদেনসহ রফতানি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও বিবেচনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে একসঙ্গে তিন অর্থবছরের রফতানি ট্রফি দেওয়া হয়। পদকের জন্য প্রধান ২৫টি পণ্যের রফতানি আয় ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।

২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য স্বর্ণপদক পাচ্ছে ২৪ প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে- হা-মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশনস, স্কয়ার টেক্সটাইলস, নোমান উইভিং, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, এপেক্স ফুডস, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ, আকিজ জুট, এপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফবি ফুটওয়্যার, এগ্রি কনসার্ন, প্রাণ এক্সপোর্টস, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, ইউনিগ্গ্নোরি সাইকেল, তানভীর পলিমার, বেক্সিমকো ফার্মা, সার্ভিস ইঞ্জিন, ইউনিভার্সেল জিন্স, শাশা ডেনিমস ও মন ট্রিমস।

ওই অর্থবছরে ১৮ প্রতিষ্ঠান রৌপ্য পদক পাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- অনন্ত অ্যাপারেলস, জিএমএস কম্পোজিট, মোশারফ কম্পোজিট, এনভয় টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), এফ আর জুট, জনতা জুট, এস এফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর এম এম লেদার, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ এগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, এভার ব্রাইট প্লাস্টিক, ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল, আল-হাবিব এন্টারপ্রাইজ, গ্রাফিক পিপল ও জিন্স-২০০০। ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ৯ প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে- সিনহা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফোর এইচ ফ্যাশনস, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুলিয়ারচর সি ফুডস, রেজা জুট, করিম জুট, আল-আজমী ট্রেড ও প্রাণ ফুডস।

এদিকে ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য স্বর্ণপদক পাচ্ছে ২৬টি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে- রিফাত গার্মেন্টস, জিএমএস কম্পোজিট, কামাল ইয়ার্ন, সাদ সান টেক্সটাইল, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের, নোমান টেরিটাওয়েল, এপেক্স ফুডস, পপুলার জুট, আকিজ জুট, এপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফ বি ফুটওয়্যার, আল আজমী ট্রেড, প্রাণ ডেইরি, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, বিআরবি কেবল, মেরিন সেইফটি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, গ্রাফিক্স পিপল, ইউনিভার্সেল জিন্স, শাশা ডেনিমস, মন ট্রিমস ও মীর টেলিকম। এ ২৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠান আগের অর্থবছরের জন্য পদক তালিকায় রয়েছে।

অন্যদিকে ১৯ প্রতিষ্ঠান এই অর্থবছরের জন্য রৌপ্য পদক পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- অনন্ত অ্যাপারেলস, স্কয়ার ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল, ইউনিলারেন্স টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), রেজা জুট, জনতা জুট, এসএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর এম এম লেদার, লালমাই ফুটওয়্যার, মনসুর জেনারেল, প্রাণ এগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, বেঙ্গল প্লাস্টিক, সার্ভিস ইঞ্জিন, প্যাসিফিক জিন্স ও জাবের অ্যান্ড জোবায়ের এক্সেসরিজ। ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া ১৫ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে_ অ্যাপারেল গ্যালারি, ইন্টারস্টফ অ্যাপারেলস, মোশারফ কম্পোজিট, তালহা ফেব্রিক্স, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, উত্তরা জুট, সাদাত জুট, বেঙ্গল লেদার, এবিসি ফুটওয়্যার, ফুটবেড ফুটঅয়্যার, এলিন ফুডস, প্রাণ ফুডস, হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, আরএফএল প্লাস্টিকস ও ইউনিগ্গ্নোরি পেপারস অ্যান্ড প্যাকেজিং।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

আস্থা সংকটেও ভালো ব্যবসা তালিকাভুক্ত জীবন বীমার

lifeনিজস্ব প্রতিবেদক :

বিভিন্ন কারণে গ্রাহক আস্থা সংকট নিয়েও ভালো ব্যবসা করছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১১টি জীবন বীমা কোম্পানি। এখন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আটটি কোম্পানি। এদের মধ্যে তহবিল বেড়েছে পাঁচটির এবং কমেছে তিনটির। বাকি তিনটি কোম্পানি এখনো অর্ধবার্ষিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

কোম্পানিগুলোর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে আসে। সূত্র থেকে জানা যায়, অর্ধবার্ষিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল ২ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ১৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯১১ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল ৭ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৪৫ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯২ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অর্ধবার্ষিকে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিলেও রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এর তহবিল ২৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৪৮ কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১১৩ কোটি টাকা।

অন্য বিমা গুলোর দাবি, এখন পর্যন্ত আইডিআরএ জীবন বীমা কোম্পানির বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। ফলে পুরনো আইনে ব্যবসা করতে হচ্ছে। জীবন বীমা তহবিলের একটি বিরাট অংশ ব্যাংকে অলস পড়ে থাকছে। যদি এটা যথাযথভাবে বিনিয়োগ করা যেত, তাহলে এ খাতে তহবিলের পরিমাণ আরো বাড়ত।

অর্ধবার্ষিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের জীবন বীমা তহবিল ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০৬ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪৬ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ৪ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪৪ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে তহবিল কমে যাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

জানা যায়, অর্ধবার্ষিকে সন্ধানী ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল ৩৫ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা কমে দাঁড়ায় ৮৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা কমে দাঁড়ায় ৮১৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। একই সময়ে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল ১০ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার কমে দাঁড়ায় ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল ৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৬ কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

জানা যায়, যেসব কোম্পানি এখনো অর্ধবার্ষিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি, তাদের মধ্যে রয়েছে মেঘনা লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, সম্প্রতি নানা ঘটনায় বীমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে গেছে। এমনটি না ঘটলে তহবিল আরো বাড়ত বলে আমার ধারণা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহের ব্যবধানে মূলধন কমেছে ৮৫ কোটি টাকা

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজারে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮৫ কোটি টাকা। এসময় প্রধান সূচক বাড়লেও কমেছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। তবে বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর। অপর বাজার সিএসইতেও একই চিত্র লক্ষ করা গেছে।

এদিকে ১৫ আগস্ট (সোমবার) জাতীয় শোক দিবস সরকারি ছুটি হওয়ায় বন্ধ ছিল দেশের শেয়ারবাজার। ফলে গেল সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেল সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ আগস্ট) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮৫ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৪১ কোটি বা ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে চেয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ কম।

আগে সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১২১ পয়েন্ট এবং ডিএস ৩০ সূচক ১৫ পয়েন্টে কমে ১ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ডিএসইতে পিই রেশিও .১ পয়েন্ট কমেছে

PEনিজস্ব প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় পিই রেশিও কমেছে দশমিক ১ পয়েন্ট বা দশমিক ০৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ দশমিক ৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৭ দশমিক ৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২০ দশমিক ১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৭ দশমিক ৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৮ দশমিক ১ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ দশমিক ৩ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১০ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৩৫ দশমিক ৮ পয়েন্টে, পাট খাতের মাইনাস ২৯ দশমিক ২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এছাড়া বিবিধ খাতে ২৬ দশমিক ২ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২০ দশমিক ২ পয়েন্ট, কাগজ খাতের ২৬ দশমিক ৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৪ দশমিক ৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২২ দশমিক ১ পয়েন্টে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ