আমান ফিডের সাব-স্ক্রিপশন শেষ

aman-addনিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া আমান ফিড মিলস লিমিটেডের সাব-স্ক্রিপশন শেষ হয়েছে। বৃহসস্পতিবার স্থানীয় এবং অনিবাসী বাংলাদেশী দুই ধরনের বিনিয়োগকারীর জন্য এই সময়সীমা শেষ হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৫ মে আমান ফিড লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ারের জন্য আবেদন জমা শুরু হয়। এই কোম্পানির মাধ্যমে শুরু হয় আইপিও আবেদনের নতুন পদ্ধতি।

পুরনো পদ্ধতিতে অনিবাসী বিনিয়োগকারীরা আবেদন জমা বা পৌঁছানোর জন্য বাড়তি সময় পেতেন। নতুন পদ্ধতিতে স্থানীয় ও অনিবাসী বাংলাদেশী সবাইকে সমান সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কোম্পানির আইপিওতে বিনিয়োগকারীরা শুধুমাত্র স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে বলে বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

 

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে/

‘বিকল্প বিনিয়োগ’ আইনের খসড়া অনুমোদন

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

‘বিকল্প বিনিয়োগ’ আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাতে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অলটারনেটিভ ইনভেস্টম্যান্ট) রুলস, ২০১৫ এর খসড়া কমিশন সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জনমত যাচাইয়ে অচিরেই এটি ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকায় এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর

৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি টাকা জরিমানা

sahjiনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে এক ব্যক্তি ও নয় প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিসহ বিভিন্ন উপায়ে কারসাজি করায় এসব জরিমানা করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাতে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিএসইসি জানায়, কারসাজির দায়ে আরও তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক ব্যক্তিকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (সিএফও), কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে জরিমানা করা হয়েছে।

যেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে, এগুলো হলো প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, সার্প সিকিউরিটিজ, বিএলআই ক্যাপিটাল, গেটকো টেলিকমিউনিকেশন ও লিব্রা ট্রেডিং করপোরেশন।

তাদের মধ্যে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে আড়াই কোটি টাকা, পিএফআই সিকিউরিটিজকে দেড় কোটি টাকা, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ২০ লাখ টাকা, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেসকে এক লাখ টাকা, সার্প সিকিউরিটিজকে দুই লাখ টাকা, বিএলআই ক্যাপিটাল এক লাখ টাকা, গেটকো টেলিকমিউনিকেশনকে পাঁচ লাখ টাকা ও লিব্রা ট্রেডিং করপোরেশনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার সংরক্ষণের মাধ্যমে কারসাজি করায় গোলাম মহিউদ্দিন নামের এক বিনিয়োগকারীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পুঁজি উত্তোলন সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করায় শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারী লিমিটেডের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত) ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিও হিসাব পরিচালন সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় আবুল কালাম ইয়াজদানী এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শাহজিবাজার পাওয়ারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার ক্রয় ও তা সংরক্ষণের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় আবুল কালাম ইয়াজদানী, গোলাম মোস্তফা, নাসিমা আক্তার লতা ও স্টার শেয়ার বাজার লিমিটেডের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণীতে ডেফার্ড রেভিনিউ এক্সপেনডিচার গণনায় বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড বিএএস-৮ (প্যারাগ্রাফ ৪১-৪৯), ১৬, ২৩ ও ৩৮ পরিপালনে ব্যর্থ হওয়া শাহজিবাজার পাওয়ারের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে (সিএফও) তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে কমিশনের ৫৩০ তম সভায় ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে অসত্য তথ্য সরবরাহের জন্য শাহজিবাজার পাওয়ারের প্রত্যেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করায় আমজাদ হোসেন ফকির নামের এক বিনিয়োগকারীকে সতর্ক করেছে কমিশন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর