ডরিন পাওয়ারের লভ্যাংশ ঘোষণা

DOREEN-POWERস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও শক্তি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। শনিবার কোম্পানির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্সূপানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষ হওয়া ২০১৬ সালে ডরিন পাওয়ারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬৭ পয়সা।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) দিন নির্ধারণ করেছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হয়েছে ১৩ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

লভ্যাংশে এগিয়ে ম্যারিকো বিডি ও পিছিয়ে মালেক স্পিনিং

dividendস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১২ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে লভ্যাংশের পরিমানে এগিয়ে ম্যারিকো বিডি আর সবচেয়ে কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে মালেক স্পিনিং। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ম্যারিকো বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর বস্ত্র খাতের নিটএশিয়া গ্রুপের কোম্পানি মালেক স্পিনিং মিলস ১০ শতাংশ করেছে। যা এই ১২ টি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ।

এ সময় লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিগুলো হল-রিজেন্ট টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইলস, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, আইটি কনসালটেন্টস, একটিভ ফাইন কেমিক্যালস, এএফসি এগ্রো বায়োটেক, ম্যারিকো বাংলাদেশ, সমরিতা হসপিটাল, রহিম টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং মিলস ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।

ম্যারিকো বিডি আর মালেক স্পিনিং ছাড়াও এ সময় লভ্যাংশ ঘোষণা করে রিজেন্ট টেক্সটাইলের পরিচালনা পর্ষদ। তারা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। এছাড়া এনভয় টেক্সটাইলস ১২ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ৪০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, আইটি কনসালটেন্টস ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, একটিভ ফাইন কেমিক্যালস ৫ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, এএফসি এগ্রো বায়োটেক ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, সমরিতা হসপিটাল ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, রহিম টেক্সটাইল ৪০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এরমধ্যে ১৮ মাসের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে রিজেন্ট টেক্সটাইল, একটিভ ফাইন কেমিক্যালস, এএফসি এগ্রো বায়োটেক ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। আর ১ বছরের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, আইটি কনসালটেন্টস, সমরিতা হসপিটাল, রহিম টেক্সটাইল ও মালেক স্পিনিং মিলস। এছাড়া ১৫ মাসের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, ৯ মাসের ব্যবসায় এনভয় টেক্সটাইলস ও মধ্যবর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ম্যারিকো বাংলাদেশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

আস্থা সংকটেও শেয়ার ছাড়ছে না ফরচুনের আইপিও বিজয়ীরা

fortuneনিজস্ব প্রতিবেদক:

তালিকাভুক্তির পর গত বৃহস্পতিবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই ইস্যু মূল্যের তুলনায় যা ৪৯৭ শতাংশ বেশি দরে হাত বদল হয়েছে শেয়ারটি। তবে শেয়ারটি হাতছাড়া করছে না আইপিও বিজয়ীরা। প্রথম দিন মাত্র ৪৩ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে তারা।

ফরচুনের শেয়ার রয়েছে এমন একাধিক বিনিয়োগকারী জানান, ফরচুনের শেয়ার দর আরো বাড়বে। এ জন্য অনেকে এই শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছে না। মন্দা বাজারে আস্থার সংকট না থাকলে এটা আরো দ্বিগুন হতাে। কোম্পানিটি ভালো লভ্যাংশ দিবে বলে মনে করছেন তারা।

প্রিন্স মাহমুদ নামে আইপিও বিজয়ী জানান, তার হাতে ৪ লট শেয়ার আছে। এসব শেয়ার পরে বিক্রি করবেন। শেয়ারবাজারে গতি আসছে, এ গতিতে লাভবান হতে পারে ফরচুনেরও শেয়ারধারীরা।

অভিহিত মূল্যে শেয়ার বেচে সম্প্রতি শেয়ারবাজার থেকে ২২ কোটি টাকা উত্তোলন করে ফরচুন সুজ। আইপিওর ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ারের মধ্যে প্রথম কার্যদিবসে প্রায় ৯৫ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়ে গেছে। এদিন লেনদেন হয়েছে মোট শেয়ারের ৪৩ শতাংশ শেয়ার।

লেনদেন কোড ‘ফরচুন’। প্রথম কার্যদিবসে চামড়া খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৯ টাকা ৭০ পয়সায় উন্নীত হয়, ইস্যু মূল্যের তুলনায় যা ৪৯৭ শতাংশ বেশি।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ মে পর্যন্ত এক বছরে ফরচুন সুজের নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এদিকে জুন মাসে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ৯১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ২০১৫ সালের একই মাসে যা ছিল ৭৯ লাখ টাকা।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)-পরবর্তী শেয়ার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ২০১৫ সালের ১ জুন থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩২ পয়সা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুর দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ১০ পয়সায় ফরচুন সুজের শেয়ার হাতবদল হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হলেও দিন শেষে তা ৫৯ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে। সমাপনী দর ছিল ৬০ টাকা ১০ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

লাইসেন্স ফিরে পাওয়ায় তেজীভাব স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স

standard-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক:

স্থগিত করা লাইসেন্স ফিরে পাওয়ায় শেয়ারের লেনদেনে তেজীভাব এসেছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এই ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে এ শেয়ারের দর বেড়েছে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ কোম্পানির মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

জানা যায়, বীমা ব্যবসার লাইসেন্স ফিরে পেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ফলে নতুন বীমা পলিসি বিক্রিতে আর কোনো বাধা থাকল না সাধারণ বীমা খাতের তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির। মূলত এ কারণেই গত সপ্তাহে কোম্পানিটি দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের বীমা ব্যবসার লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুনঃবীমা-সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে ২০১৫ সালের নভেম্বরে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিত করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এতে পুরনো ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারলেও নতুন কোনো পলিসি বিক্রি করতে পারছিল না কোম্পানিটি।
পাল্টাপাল্টি আপিলের পর শেষ পর্যন্ত আইডিআরএর সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। পরবর্তীতে কোম্পানি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে আপিল করে। গ্রাহক-শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার কোম্পানিটির ব্যবসার লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে গত সপ্তাহে এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়। দিনভর দর ১৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সায়, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সায়। এদিন ৬১ বারে এ কোম্পানির মোট ৪৬ হাজার ৪৮১টি শেয়ারের লেনদেন হয়।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারহোল্ডাররা। সে বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৬৬ পয়সা, ২০১৩ সালে যা ছিল ৩ টাকা ৫ পয়সা।
২০১৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৫ পয়সা, এনএভি ১৬ টাকা ৮৬ পয়সা ও নিট মুনাফা ৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এদিকে ২০১৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয় ১ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৭ টাকা ১৩ পয়সা।

২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৭টি। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৯ দশমিক ৮ ও বাকি ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ