ফি না দেওয়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল

cdblস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নির্ধারিত সময়ে নবায়ন ফি না দেয়ায় শেয়ারবাজারে এক মাস ২০ দিনে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।

এই তালিকায় বিভিন্ন কোম্পানির ৫০টি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) ৯ হাজার ৪১২ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। লেট ফি দিয়েও এসব অ্যাকাউন্ট আর চালু করা যাবে না। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএল (সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড)।

নবায়নের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে নিষ্ক্রিয় বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধের তালিকা পাঠানো শুরু করে। আর সর্বশেষ হিসাবে দেশের শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৪৭৮টি। সিডিবিএল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের স্বচ্ছতায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।

সূত্র জানায়, বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে ৪৫০ টাকা লাগে। এর মধ্যে সিডিবিএল ১০০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়।

জানা যায়, প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে এই ফি সিডিবিএলে জমা দিতে হয়। এ বছর ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সক্রিয়তা বিবেচনা করে বছরের বিভিন্ন সময়ে অ্যাকাউন্ট বাতিল করে। আর নবায়ন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জুনে বেশির ভাগ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়।

৩১ মে শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪২টি। বর্তমানে ২৪ লাখ ৩০ হাজার ১২৭টিতে নেমে এসেছে। এর মাধ্যমে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪টি বিও বাতিল হয়েছে।

সিডিবিএল সূত্র বলছে, ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হলেও অলিখিতভাবে আরও কিছুদিন সময় রয়েছে। কিছু হাউস এখনও তালিকা পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। ফলে অ্যাকাউন্ট বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়বে। গত বছর এ প্রক্রিয়ায় তারা ২ লাখ বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছিল। একবার বন্ধ হলে ওই অ্যাকাউন্ট আর চালু হয় না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

সোনালী আঁশের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু রবিবার

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের মূল মার্কেটে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন আগামীকাল রবিবার হতে শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই,২০২০) চিঠি দিয়েছে।

জানা গেছে, লেনদেনে চালু করতে বিএসইসির সহকারী পরিচালক মাহমুদা শীরিনের স্বাক্ষরিত চিঠি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিকট পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, যে কোন দিন থেকে সোনালী পেপারের লেনদেন মূল মার্কেটে চালু করতে পারবে। তবে কোম্পানিটির পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হবে।

সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ০.৮২ শতাংশ

PE-300x197স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.৮২ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১০.৯৬ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১১.০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.০৫ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৫১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৩.৪৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.০৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪.৫৪ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১৯.৯৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১১.২৫ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২১.৮৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮.৮৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০.৩৩ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২১.১৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৬৭.৩৬ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৪.৫১ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ৯.৭১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১১.৩৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২২.৭৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৩০.২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২০৫১ কোটি টাকা

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০৫১ কোটি টাকা লেনদেন বেড়েছে। এসময় সূচক ও বাজার মূলধন বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ২০৫১ কোটি টাকা ০.৬৫ শতাংশ।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ১,২৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার। আগের সপ্তাহের ৫ দিনের লেনদেন হয়েছিল ১,৫০৮ কোটি ৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১৭.৯২ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৭.৯২ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩০১ কোটি ৬০ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭৪ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ০.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর। আর ৩টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম