শেয়ারবাজার উন্নয়নে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, সরকার মনে করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য একটি গতিশীল ও শক্তিশালী শেয়ারবাজারের উপস্থিতি অপরিহার্য। তাই শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য যে ধরণের সাহায্য প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো উত্থাপন করেন সংসদ সদস্যরা।

গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে শেয়ারবাজারে কিছু তারল্য সঙ্কট থাকলেও ব্যাংকিং খাতে কোন তারল্য সঙ্কট নেই। বর্তমান বিরাজমান তারল্য সঙ্কট কাটিয়ে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গত জানুয়ারি তাঁর কার্যালয়ে একটি সভা করেন।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ওই সভায় শেয়ারবাজারকে বিকশিত করা এবং বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতিপয় স্বল্প-মেয়াদী কর্মসূচির বিষয়ে সভার আলোচনা করা হয়। স্বল্প মেয়াদি বেশ কিছু বিষয় অচিরেই কিভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে তার উপর মতামত প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার বিষয়টি পর্যালোচনা করা; ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাসমূহ সনাক্ত করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সরকারদলীয় সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার কার্যকর করা হলে ব্যাংকগুলো উক্ত খাতে ঋণ/বিনিয়োগ ইচ্ছাকৃতভাবে হ্রাস করে অন্যান্য খাতে অধিক সুদহারে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদানে আগ্রহী হতে পারে। যা দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করবে। তাই সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ক্রেডিট কার্ড ব্যতিরেকে অন্যান্য সকল খাতে ঋণ/বিনিয়োগের সুদহার শতকরা ৯ ভাগ নির্ধারণ করে আগামী পহেলা এপ্রিল হতে কার্যকর করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত দশ বছরে (২০০৯-২০১৯) বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংক হতে মোট ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে এবং ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ এই সময়কালে মোট ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা নীট ঋণ গ্রহণ করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ : টিপু মুনশি

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এক সময় গরু আমদানি করে কোরবানির ঈদের চাহিদা পূরণ করা হতো। সরকারের গৃহীত বিশেষ উদ্যোগের কারণে আজ বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর কোরবানির জন্য গরু আমদানি করতে হয় না।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যদি চীন থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধও হয়ে যায়, তবুও দেশে পিয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন পিয়াজ আসছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ আমদানি হচ্ছে মিয়ানমার থেকে। পাকিস্তান থেকে আসছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক থেকেও আসছে, আর চীন থেকে খুব কম পরিমাণ আসছে। সুতরাং চীন থেকে পিয়াজ আনা বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।

টিপু মুনশি বলেন, পিয়াজ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পিয়াজ আমদানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। এ ছাড়া পিয়াজের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা পিয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পিয়াজ রফতানি করা সম্ভব হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পিয়াজ নিয়ে যাতে কেউ কারসাজি করতে না পারে, সে বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গহণ করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিল্ডের নতুন চেয়ারপার্সন আবুল কাসেম খান

BUILD Chairperson 2020-21স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কসেম খান। ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য পূর্ববর্তী চেয়ারপার্সন মাহবুবুল আলমের স্থলাভিষিক্ত হলেন আবুল কাসেম খান। ২০১৮ ও ২০১৯ এ দুই বছর বিল্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

আবুল কাসেম খান বর্তমানে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক এবং এ কে খান টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিল্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিল্ডের সাবেক চেয়ারপার্সন আসিফ ইব্রাহীম ও সিসিসিআইর পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর।

নতুন ট্রাস্টি ছাড়াও ২০২০ সালের জন্য বিল্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির, সিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, এমসিসিআইর মহাসচিব ফারুক আহমদ, ডিসিসিআইর সচিব জয়নাল আবেদীন ও সিসিসিআইর সচিব ইঞ্জি. মোহাম্মদ ফারুক। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিল্ডের বর্তমান প্রধান নির্বাহী ফেরদৌস আরা বেগম।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় পরিচালিত সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংলাপের একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে বিল্ড। ২০১১ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট পলিসি কোঅরডিনেশন কমিটিকে (পিএসডিপিসিসি) সাচিবিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। পিএসডিপিসিসির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব।

বিল্ড মূলত ৫টি বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে (থিমেটিক এরিয়া) পাবলিক-প্রাইভেট ডায়লগের আয়োজন করে থাকে। এগুলো হলো Ñ ট্যাক্স, এসএমই, ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড গ্রিন গ্রোথ। সরকারি ও বেসকারি খাতের সংলাপকে কার্যকরী করতে প্রতিষ্ঠানটি বেশিরভাগ বিশ্লেষণ ও অ্যাডভোক্যাসি পরিচালনা করে থাকে। এর মাধ্যমে সরকারকে সুনির্দিষ্ট, নিরূপণযোগ্য ও ফলাফলভিত্তিক সুপারিশ প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৭ মামলা

124545_bangladesh_pratidin_dr_muhammad-yunusস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ না করায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার গ্রামীণ টেলিকেমর সাবেক ও বর্তমান কর্মীরা এসব মামলা দায়ের করেন। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এসব মামলা করা হয়।

এ নিয়ে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা দাঁড়িয়েছে ১০৭টি। যার মধ্যে সাবেক কর্মীদের মামলা ১৪টি ও বর্তমানে কর্মরত কর্মীরা করেছেন ৯৩ টি।

মামলায় ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা ড. ইউনূসকে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসানকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত রবিবার দায়ের করা ১৭ মামলা বাদি হলেন কাজী ফিরোজা সনি, মনিরুজ্জামান টনি, রবিউল ইসলাম, আবু নাঈম বায়েজিদ, বিল্লাল হোসেন, সাদমান সাকিব, জুনায়েদ হোসেন, মোফাসল হক তুহিন, মাহামুদুল হাসান সুজন, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, সাদিকুর রহমান, আমিনুল হক চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, বাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম, হাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে ৩৪.২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা কর্মীদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করে দেওয়ার বিধান থাকা স্বত্ত্বেও তা দেওয়া হয়নি। ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম মোট ৪০৭৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। এর ৫ শতাংশ অর্থাৎ ২০৪ কোটি টাকারও বেশি কর্মীদের পাওয়ার কথা। কিন্তু তা থেকে কর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই মুনাফার টাকা সমহারে আদায়ের জন্য কর্মীরা মামলা করেছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/

নিউ লাইন ক্লােথিংয়ের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

new lineস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিউ লাইন ক্লােথিং লিমিটেড ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আর এই লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটি এই লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/

  1. লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট
  2. এডিএন টেলিকম
  3. ইন্দো বাংলা ফার্মা
  4. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  5. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস
  6. সিলকো ফার্মা
  7. বিবিএস ক্যাবলস
  8. এমএল ডায়িং
  9. এ্যাডভেন্ট ফার্মা
  10. কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

ঋণ খেলাপির কারণে সংসদে আমাকে গালি শুনতে হয় : অর্থমন্ত্রী

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আমিও একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু আমি ঋণখেলাপি নই। আপনাদের বিতরণকৃত ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ার কারণে সংসদে আমাকে গালি শুনতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজারদের বার্ষিক কনফারেন্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে চলছে। কমেছে দেশেরই আমদানি-রফতানি। এই পরিস্থিতিতে ভালো করা খুব কঠিন। তবে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে আসবে সেগুলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, একটি ব্যাংকের সব মানুষ খারাপ নয়। দুই একজন খারাপ। সর্বোচ্চ পর্যায় বা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে শাস্তি আসার আগেই নিজেদের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করে নিন। খারাপ কর্মকর্তাদের জন্য যখন ঋণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন পুরো ব্যাংককেই এর ভুক্তভোগী হতে হয়। আর আমাকে আপনাদের জন্য সংসদে গালি শুনতে হয়।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, শিল্পখাতে অবদান রাখার জন্য আপনাদের এই ব্যাংকটির সৃষ্টি। শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য আপনারা জাতির কাছে দায়বদ্ধ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা, মালিকানা ও দেখাশোনাসহ সব কিছুর দায়িত্ব আপনাদের।

সকলের অবদানের উপর ভিত্তি করেই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশের মধ্যে প্রবেশ করব। এই মুহূর্তে আমরা ৩৯তম স্থানে অবস্থান করছি। ২০২৭ সালের মধ্যে ২৪তম স্থানে পৌঁছবো। সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হতে চাই, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বিতরণকৃত ঋণ যেন খেলাপিতে পরিণত না হয় সেজন্য গুণগত ঋণ বিতরণ করুন। বর্তমানে বিডিবিএলের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৮ শতাংশ, যা মোটেও কাম্য নয়। আগামী বছরে ২০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। এই মুহূর্তে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি খুবই কম। তবে এপ্রিল মাসে সকল প্রকার ঋণে সুদহার ৯ শতাংশে নেমে আসলে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে জানান গভর্নর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডিবিএল চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের অতীত ইতিহাস সুখকর নয়। তবে আমরা সামনে তাকাতে চাই। ২০১৯ সালে পরিচালন মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আগের বছরের (২০১৮) পরিচালন মুনাফা ছিল ১১৭ কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, আমরা পুরনো গ্রাহকদের ফিরিয়ে আনতে চাই। এই মুহূর্তে আমাদের ব্যাংকের মূল সমস্যা উচ্চ খেলাপি ঋণ। পাশাপাশি রয়েছে দক্ষ জনবলের অভাব।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাজী আলমগীর বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের ব্যাংকের মোট শাখা ৪৬টি। ২০২২ সালের মধ্যে আরও ২০টি শাখা খোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম বুথ এবং এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করার চিন্তা করছি আমরা। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে নতুন করে ঋণখেলাপি তৈরি হতে দেওয়া হবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিলে পদক্ষেপ নিল চীন

141834China-to-hold-5th-World-Internet-Conferenceস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ৭৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই শুল্ক হার আরোপ করা হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জানুয়ারিতে বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিলে দুই দেশের চুক্তির পর প্রথম এই ঘোষণা দিল চীন।

চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু কিছু পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু পণ্যে শুল্ক হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আড়াই শতাংশ করা হচ্ছে।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা এই ৭৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করে চীন। তবে কোন কোন পণ্যের ওপর এবার শুল্ক অর্ধেক হচ্ছে, তা এখনো বলা হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন আনার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের জন্য এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধে একে অপরের পণ্য আমদানিতে ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে বিশ্ব অর্থনীতির দুই পরাশক্তি। চুক্তির মূল শর্ত হিসেবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগামী দুই বছরে বর্তমানের চেয়ে ২০০ বিলিয়ন ডলার বেশি মূল্যমানের পণ্য ও সেবা কিনবে এবং মেধাস্বত্ব আইন আরও শক্তিশালী করবে। ২০০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে কৃষি খাতে ৩২ বিলিয়ন ডলার, উৎপাদন খাতে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, জ্বালানি খাতে ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ক্রয় করবে চীন। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্কের কিছুটা অর্ধেক করে দিতে সম্মত হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা আনুমানিক ৩৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবার ওপর ২৫ শতাংশের বেশি শুল্ক বজায় রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর যে নতুন শুল্ক আরোপ করেছিল, এর বেশির ভাগ অংশই বজায় রাখবে। সূত্র : প্রথমআলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে ৩৭৬ ও সিএসইতে ১৪ কোটি টাকার লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেনও কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।

ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৭৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ৪৪ কোটি ৪ লাখ টাকা কম। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির।

এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলো হলো – লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, এডিএন টেলিকম, ইন্দো বাংলা ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সিলকো ফার্মা, বিবিএস ক্যাবলস, এমএল ডায়িং, এ্যাডভেন্ট ফার্মা ও কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৫৪২ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ১৪ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

সঞ্চয়: ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে জমা টাকা কি ফেরত পাওয়া যাবে?

bbস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০ এর সংশোধনীসহ আমানত সুরক্ষা আইন নামে নতুন একটি আইন আসছে।

নতুন আইনটির খসড়া অনুমোদন করে মতামত চেয়ে পনের কার্যদিবস সময় দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে দিয়েছে সরকার।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বিবিসিকে বলছেন, এটি মূলত ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য উপকার হবে।

“ক্ষুদ্র আমানতকারীরা এ থেকে লাভবান হবেন। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলেও তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ইন্সুরেন্স তহবিল থেকে তাদের সহায়তার জন্য আইনটি করা হচ্ছে”।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে এখন ব্যাংক আমানত বীমা আইন হিসেবে যেটি আছে সেখানে শুধু ‘ব্যাংক’ অন্তর্ভুক্ত ছিলো কিন্তু এ নতুন আইনে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন আইনটি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়ে পাশ হলে এর আওতায় আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করা হবে।

একই সাথে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত সুরক্ষার বিপরীতে বীমা প্রিমিয়াম দিতে পরপর দুবার ব্যর্থ হলে সেই প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নে বা বন্ধ করার ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে।

যদি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত বা দেউলিয়া হয়ে পড়ে তাহলে ওই তহবিল থেকে আমানতকারীর পাওনা পরিশোধ করা যাবে।

আইনটিতে বলা হয়েছে, “কোন বীমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর অবসায়নের আদেশ দেয়া হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ওই অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমানতকারীকে তার বীমাকৃত আমানতের সমপরিমাণ টাকা, যা সর্বাধিক এক লাখ টাকা বা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত টাকার বেশি হবেনা, তহবিল হতে প্রদান করবে”।

তাহলে এক লাখ টাকার বেশি থাকলে সে অর্থের কী হবে?

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বিবিসিকে বলছেন আমানতকারীদের টাকা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা এবং এ জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন ও আইন আছে।

“এখানে যে এক লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে সেটি ইন্সুরেন্স থেকে দেয়া হবে। তবে এক লাখ টাকার বেশি যাদের টাকা জমা থাকবে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সেটি দেউলিয়া হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ করবে। তিনিই ব্যাংকের সম্পদ বা অন্য কোনোভাবে আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন”।

মিস্টার খালেদ বলেন নতুন আইনটি হলে যাদের এক লাখ টাকার কম আমানত থাকবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তারা সেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত হলে আর কোনো ঝুঁকিতে থাকবেননা।

প্রস্তাবিত আইনে অবসায়ন বলতে কোনো কোম্পানি কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলা, বন্ধ করা এবং দায়-দেনা নিষ্পত্তি করাকে বোঝায়।

আইনটির খসড়াও আরও বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের পর তার আমানতকারীদের যে অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ট্রাস্ট তহবিল পরিশোধ করবে সেটি সংশ্লিষ্ট দেউলিয়া হওয়া ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিট সম্পদের বিপরীতে যে তারল্য থাকবে তা সমন্বয় করা হবে।

খসড়া আইনে আরও বলা হয়, আইনটি প্রবর্তনের পর প্রত্যেক প্রতিষ্ঠিত তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ট্রাস্ট তহবিলের সঙ্গে বীমাকৃত হবে। এছাড়া প্রত্যেক বীমাকৃত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের আমানতের অংশের ওপর প্রতিবছর এ তহবিলে প্রিমিয়াম প্রদান করবে।

মিস্টার খালেদ বলছেন এ প্রিমিয়ামও ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ থেকে দেবেনা। বরং তারা নিজেরাই এ অর্থ প্রদান করবে।

তবে এক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রিমিয়ামের হার কমবেশি করতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সূত্র : বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে