স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর বেধে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না। আজ রবিবারের লেনদেনেও প্রায় একই অবস্থা। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত লেনদেনে আসা ৩৩৪ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০টির ক্রেতা দেখা গেছে। তবে শেষের দিকে কয়েকটি কোম্পানির ক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতার দেখা মিলছে।
লেনদেন শেষে বেশিরভাগ শেয়ার দর হারানোর কারণে ডিএসইএক্স সূচক ১৪.৭৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৩ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি হলো – মুন্নু সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ব্যাংক এশিয়া, আজিজ পাইপস, মুন্নু স্টাফলার্স, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, কে এন্ড কিউ, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।
করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় যাওয়ার কারণে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সময় চার ঘণ্টার স্থলে তিন ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণে পরিবর্তিত সময় সূচি অনুযায়ি রবিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শেয়ার কেনাবেচা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দরপতন ঠেকাতে তালিকাভুক্ত সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বেশ জটিলতা হয়। ভুল হিসাবে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার শেয়ার কেনাবেচা হয়। তবে শুক্র বা শনিবার ডিএসইর কর্মকর্তারা কাজ করে ভুলগুলো সংশোধন করেছেন বলে দাবি করেছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, আজও কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধন করা হবে।
দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর ওয়েবসাইটে দর বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া শেয়ার সংখ্যা প্রকাশ করা হলেও সাড়ে ১২টা থেকে তা আর দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইও ত্রুটি সারিয়ে আজ শেয়ার কেনাবেচা করছে। লেনদেন শেষে ২০৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৪৪টি শেয়ার। ফ্লোর প্রাইসের নিচে কেনাবেচার সুযোগ না থাকায় কোনো শেয়ারেরই দর কমেনি। কিন্তু বেধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হয়েছে ১৬৬টি শেয়ার।
কয়েকটি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫২.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। দিনশেষে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মূল্যে শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ