ভরা মৌসুমেও রাজধানীতে আলুর দাম চড়া

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও ক্রেতাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগি, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার, বাড্ডা কাঁচাবাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

খুচরায় মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পুরনো আলুর সরবরাহ খুব কম। এই আলু মানভেদে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে এখনো পুরনো দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমছেই না। এতে আমরাও কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি না। ভালো মানের নতুন আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। প্রতি ডজন ডিম আগের মতো ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।’

কারওয়ান বাজারের আলু ব্যবসায়ী মো. ফরিদ বলেন, ‘বাজারে নতুন আলু আসা শুরু হলেও সরবরাহ গতবারের তুলনায় কম। এতে আলুর দাম কমছে না। কারওয়ান বাজারেও খুচরায় বড় আলু ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না।’

গতকাল জোয়ারসাহারা বাজারে কথা হয় হাবিবুর রহমান নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে এক থেকে দেড় মাস আগে থেকে নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। এখন আলুর প্রচুর সরবরাহ থাকলেও দাম কমছে না। এক মাস আগেও ৭০ টাকায় আলু কিনতে হয়েছে, এখনো ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে আলুর দাম কমাচ্ছেন না এবার। তাই সরকারকে বাজার তদারকিতে নজর দিতে হবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কমেছে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার খবরে দেশের এই বৃহত পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। তখন আড়তে মজুদ থাকা পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন না তাঁরা। তাই লোকসান দিয়ে হলেও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আড়তদাররা।

বাংলাদেশে পণ্যটির দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর দেশীয় উত্পাদনের পেঁয়াজ বাজারে এলে পণ্যটির দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু যেভাবে বেড়েছিল, সেভাবে আর কমেনি।

তিন দিন আগে ভারত থেকে আমদানি হওয়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এখন একই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। এতে কেজিতে দাম কমেছে ৪৫ েথকে ৫০ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা বড় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে।

কিন্তু তিন দিন আগে একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এতে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দাম কমেছে। পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আসা দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। কিন্তু তিন দিন আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। কমেছে ১৫ টাকা।

খাতুনগঞ্জ দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক দুলাল কান্তি বণিক বলেন, এখন আড়তে যেসব পণ্য আছে, সেগুলো বাড়তি দামে কেনা। নতুন করে ভারত থেকে পেঁয়াজ এলে আড়তে থাকা পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। সেই ভয়ে অনেক আড়তদার লোকসান দিয়ে হলেও পণ্যটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই পণ্যটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

সিএসইর নবনিযুক্ত এমডির সাথে সিবিএফ এর প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই)-এর নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার এর সাথে সিএসই ব্রোকারস ফোরাম (সিবিএফ) এর প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সিএসই’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে-এর সিএসই ব্রোকারস ফোরাম (সিবিএফ)-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামছুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ফোরামের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দ মজুমদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

সাইফুর রহমান মজুমদার গত ১ জানুয়ারি সিএসইতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে যোগদান করেছেন।

উক্ত সাক্ষাতে, শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তারা এক্সচেঞ্জ-এর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মত বিনিময় করেন। একই সাথে সিএসই এবং ট্রেক হোল্ডারদের ব্যবসার উন্নয়ন সংক্রান্ত নানবিধ ব্যাপার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। এছাড়াও এসময় ডেরিভেটিভস মার্কেট, শরিয়াহ মার্কেট, কমডিটি এক্সচেঞ্জ এবং অন্যান্য চলমান বিষয়েও আলোচনা হয় । উক্ত আলোচনায় উভয় পক্ষ পুজিবাজারের উন্নয়নে সিএসইর আরো অধিক কার্যকর ভূমিকার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেন এবং বিশেষ করে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।

এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দের মধ্যে শওকত আলী তালুকদার, মোঃ আবুল বাশার ভূঁইয়া, নাসরিন সুলতানা চৌধুরী, তাহমিদ জামাল এবং তৈমুর রহমান সে সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সী পার্লস রিসোর্ট; ২য় বিডি থাই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সী পার্লস রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিডি থাই এলুমিনিয়াম লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার।

অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেডের ৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশনের ৪৯ কোটি ৯৬ লাখ, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংর ৪৪ কোটি ৮৫ লাখ, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংর ৪৪ কোটি ৩৮ লাখ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৩৭ কোটি ৩ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৩৪ কোটি ২৪ লাখ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের ৩২ কোটি ৫১ লাখ ও এমারেল্ড ওয়েলের ৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

ডিএসইতে মূলধন বাড়লেও লেনদেন কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে। তবে এই সপ্তাহে সেখানে মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ২০.৭৯ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৪ দিনে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৬ কোটি টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২০.৭৯ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে দিনের গড় লেনদেন ৩৯৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৫০৪ কোটি ১১ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ২০.৭৯ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ০.৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০৯৪ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১.৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০১টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৩৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২৩০ কোটি টাকা অর্থ্যাৎ ০.০৩ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি