আমানত জমা পড়েছে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

স্কুলশিক্ষার্থী, কৃষক, প্রতিবন্ধী, সামাজিক ভাতা গ্রহণকারী, তৈরি পোশাক খাতের কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা অঙ্কের হিসাব খোলার সুযোগ দেয়া হয়। আর্থিক তথা ব্যাংকিং কাঠামোর মধ্যে পিছিয়ে পড়াদের আনতে মূলত উদ্যোগটি নেয়া হয়। ন্যূনতম অর্থেই এ হিসাবগুলো খোলা ও পরিচালনা করা যায়। এসব হিসাব পরিচালনায় ব্যাংকগুলো কোনো সেবা ফি নিতে পারে না। বর্তমানে হিসাবগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। গত সেপ্টেম্বর শেষে এসব হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজারে। এ সময়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এসব হিসাবের প্রায় অর্ধেকই কৃষকদের। মোট হিসাবের ৪৪ শতাংশই কৃষকদের হাতে খোলা ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব। এ হিসাবে কৃষকদের ব্যাংক হিসাব ও আমানতের পরিমাণই বেশি। কৃষকদের ব্যাংক হিসাবের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার। এতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৪ কোটি টাকা।

১০, ৫০ ও ১০০ টাকা ব্যাংক হিসাবের মোট সংখ্যাগত দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানের রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় ভাতা গ্রহণকারী। মোট হিসাবে তাদের অংশ হচ্ছে ৩৫ শতাংশ। এরপরই রয়েছে অতি দরিদ্র শ্রেণির ১২ শতাংশ। আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এসব হিসাবে ১৯১ কেটি টাকা। ১০ টাকা ব্যাংক হিসাবেও রেমিট্যান্সও আসতে শুরু করেছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে এ হিসাবে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯৭ কোটি টাকা।

অপরদিকে স্কুলছাত্রদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজারে। এতে আমানতের পরিমাণ হচ্ছে এক হাজার ৮২১ কোটি টাকা। পথ শিশুদের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৫২টিতে। এখানে আমানতের পরিমাণ হচ্ছে ৩৯ লাখ টাকা।

অপরদিকে তৈরি পোশাক খাতেরা কর্মীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে চার লাখ ৫১ হাজারে। এতে আমানত রয়েছে ১৭৮ কোটি টাকা। তিন মাস পূর্বেও এসব হিসাবের সংখ্যা ছিল চার লাখ ৩৫ হাজারে।

তিন মাসের ব্যবধানে তাদের ব্যাংক হিসাব সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত কভিড-১৯ মহামারিতে তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে বেতনের অর্থ সরাসরি দেয়া তাদের হাতে। এজন্য প্রত্যেক কর্মীকেই ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে।

তাদের ব্যাংক হিসাব খুলতে করোনাভাইরাসের জন্য ঘোষিত সরকারি সাধারণ ছুটিকালীন সময়েও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে তৈরি পোশাক খাতের কর্মীরা ব্যাংকিং সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অংশ হিসেবে সবাইকে ব্যাংকিং কাঠামোর মধ্যে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। দিন দিন এসব হিসাবের সংখ্যা ও আমানতের পরিমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরাও সহজেই ঋণ নিতে পারছেন এসব হিসাবের মাধ্যমে। এতে সঞ্চয়ের প্রতিও মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠছে। কিন্তু পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় গত জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২০ প্রান্তিকে মোট আমানতের পরিমাণ কমে এসেছে। শতাংশ হিসেবে এটি শূন্য দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। কয়েকটি খাতের হিসাবে আমানতের পরিমাণ কমে আসার প্রভাব পড়েছে মোট আমানতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষক, অতি দরিদ্র ও সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগীদের আমানত কমেছে। কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা বলছেন, কভিড-১৯ এর কারণে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ টিকে থাকতে সর্বশেষ জমানো অর্থ খরচ করেছে। এতে ব্যাংক থেকে তাদের অর্থ তুলতে হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মোট আমানতের ওপর।

এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ কমে আসার বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কভিড-১৯ মহামারি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের প্রবৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত করেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বাইরের জেলাগুলোতে। সব ব্যাংক এখনও এসব হিসাব খোলার বিষয়ে তৎপরতা বৃদ্ধি করেনি। ব্যাংকগুলো উদ্যোগী হলে ব্যাংক হিসাব ও আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঢাকা চেম্বার এবং বিয়াকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক)-এর মধ্যকার সমঝোতা স্মারক করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকাস্থ বিয়াকের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং বিয়াক-এর পরিচালক এম এ আকমল হোসেন আজাদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অথবা বাংলাদেশের বাইরে কোন বাংলাদেশী নাগরিক বা ব্যবসায়ীর অন্যদেশের নাগরিক বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধের সৃষ্টি হলে, ঢাকা চেম্বার বিষয়টির বিকল্প নিষ্পত্তি অথবা মধ্যস্থতার নিমিত্তে বিয়াক-এর সাথে যোগাযোগের সুপারিশ করবে। এছাড়াও মধ্যস্থতা এবং বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে দুটো প্রতিষ্ঠানই প্রযুক্তিগত, প্রায়োগিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বিনিময় করবে, পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিয়াকের কার্যক্রম কে আরো সুপরিচিত করে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার এবং বিয়াক যৌথভাবে সেমিনার, কর্মশালা, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিয়াক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ এ (রুমি) আলী বিয়াকের নিজস্ব বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও মধ্যস্থতা আইনের আওতায় এর প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধ নিষ্পত্তি ও মধ্যস্থতা সেবার মাধ্যমে কিভাবে আদালতের সাহায্য ছাড়াই উদ্ভুত যে কোন ব্যবসায়ীক বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া (এডিআর) একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে, অত্যন্ত গোপনীয়তা ও নিরপেক্ষতার সাথে দুপক্ষেরই স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। তিনি ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের মাঝে অথবা অন্য যে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে বিদ্যমান বাণিজ্য বিরোধ থেকে থাকলে, বিয়াকের বিরোধ নিষ্পত্তি সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।

এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ব্যবসায় কার্যক্রমে উন্মুত বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরবিট্রেশন এবং মধ্যস্থতা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ঢাকা চেম্বারের সদস্যবৃন্দ নিজেদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে এডিআর-এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, বিয়াক এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে স্বীকৃত একমাত্র প্রতিষ্ঠান, তবে ব্যবসায়ী সমাজে বিয়াকের এ কার্যক্রমকে আরো জনপ্রিয় ও সুপরিচিত করে তোলার উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাগণ যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএ, এফসিএস বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সংক্রান্ত ব্যবসায়ীক বিরোধ নিষ্পত্তিতে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে। এ সময় বিয়াকের জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবা রহমান রুনা এবং আইন পরামর্শক রুবাইয়া ইহসান কারিশমা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

করোনার পরে গার্মেন্টস সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সরকারি প্রণোদনা পেয়ে দেশের গার্মেন্টস সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনার সময়ে গার্মেন্টস সেক্টরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, গার্মেন্টস ব্যবসার সাথে আরো অনেক ছোট-বড় শিল্প জড়িত। এই সেক্টর ক্ষতির মধ্যে পড়লে ওই সব শিল্পও ক্ষতির মধ্যে পড়ে। তাই করোনার দ্বিতীয় ধাপেও যদি গার্মেন্টস সেক্টরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে সরকার পুনরায় তাদের সহযোগিতা করবে। কারণ এই সেক্টরে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল।তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার যা যা করণীয় তাই করবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে। এই পাটকলগুলো অব্যাহত লোকসান দিচ্ছে। প্রতি বছরই এই পাটক গুলোকে সরকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত বছর কৃষকরা পাটের দাম মন প্রতি ২ হাজার টাকা পেলেও এ বছর সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেয়েছেন। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

এর আগে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা (অতিরিক্ত সচিব), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, (এনডিসি), গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ছয় কোম্পানির বোর্ড সভা চলতি সপ্তাহে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির বোর্ড সভা চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলোর এই বোর্ড সভায় ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত এবং চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেডের বোর্ড সভাটি ২৯ নভেম্বর বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এসকে ট্রিমস লিমিটেডের বোর্ড সভা ২৯ নভেম্বর বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বোর্ড সভা ২৯ নভেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এস্কয়ার নীট কম্পোজিট লিমিটেডের বোর্ড সভা ৩০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ।

হাক্কানি পাল্প লিমিটেডের বোর্ড সভা ৩০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

বঙ্গজ লিমিটেডের বোর্ড সভা ২ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বোর্ড সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

ডিএসইতে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ পিই রেশিও কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দেড় শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩.২৩ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৩.০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮০ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৯.৩৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.৪৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১২.৫২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৭৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২০.১৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২২.৯৬ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৭.১৭ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৮৫ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৬.৪৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২০.৭৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৪.৭৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৩.৭৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ২৮.৫৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১২.৯২ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১০.৪৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১১৭.৩৯ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ২৮.২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে বাজার মূলধন ২৭৬৬ কোটি টাকা কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৭৬৬ কোটি টাকা কমেছে। এসময় গত সপ্তাহের তুলনায় সূচক ও লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৪৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৩৯০৯ কোটি ১০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১৯.৪৫ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৬২৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৯.৪৫ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০.৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১১.৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১০.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৩টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২৭৬৬ কোটি টাকা বা ০.৭০ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/