এক যুগে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত মার্কিন অর্থনীতি

usaস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছে মার্কিন অর্থনীতি।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লকডাউন জারি করায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটিতে।এটাই এ সংকোচনের কারণ।

সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহত্তম এই অর্থনীতি বার্ষিক ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে।২০১৪ সালের পর এই প্রথম সংকুচিত হলো মার্কিন অর্থনীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, করোনা মহামারি যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব মানব ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অনেক পরিবারকে সরাসরি অর্থ প্রদানসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। ফেডারেল রিজার্ভও সুদের হারকে শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনাসহ অনেক জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ঘুঁরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, চলমান সংকট অর্থনীতির ওপর ‘ব্যাপক ভার’ চাপিয়ে দিয়েছে।

পাওয়েল বলেন,’কেউ যদি বলেন, আরও কিছু করার দরকার আছে কি না। আমার উত্তর হবে—হ্যাঁ।’
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির যে হাল

মার্চের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন। মার্কিন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং ভোক্তাদের আস্থা ঐতিহাসিক পর্যায়ে কমে গেছে।পূর্বাভাসকারী ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের মধ্যে অর্থনীতি ৩০ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।

মুডি এনালেটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্দি বলছেন, এমনটা আর হয়নি, অভূতর্পূর্ব। অর্থনীতি একেবারে সমতলে চলে গেছে।

মার্কিন অর্থনীতির সংকোচন করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী মন্দার একটি অংশ। চীনের অর্থনীতি পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। ১৯৯২ সালের পর যা সর্বোচ্চ ত্রয়মাসিক সংকোচন। গতকাল জার্মানিও শুনিয়েছে হতাশার কথা। জার্মানি বলছে যে তার অর্থনীতি এই বছর রেকর্ড ৬ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।

করোনা মহামারির শুরু হওয়ার আগে চলতি বছর মার্কিন অর্থনীতিতে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। এপ্রিলের মাঝে এসে সব পাল্টে গেছে। বিশ্বের প্রায় ৯৫ ভাগ দেশেই লকডাউন জারি রয়েছে। যদিও কিছু কিছু দেশ একটু একটু করে লকডাউন উঠিয়ে নিচ্ছে, তবে সামনে অনেক দেশে তা বহাল থাকবে। সূত্র : দৈনিক পত্রিকা

স্টকমার্কেটবিডি. কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *