ছয় কোম্পানি ৮২৭ কোটি টাকার রাইট শেয়ারের অপেক্ষায়

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ৬টি কোম্পানির ৮২৭ কোটি টাকার রাইট শেয়ার। এর মধ্যে ২৯৪ কোটি টাকা প্রিমিয়াম। তবে চলতি বছর আরও ৯টি কোম্পানির রাইট শেয়ারের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মন্দা বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর আগে বিএসইসিকে চিন্তা করতে হবে। আর কোনো কোম্পানির রাইট শেয়ার অনুমোদনের আগে এসব কোম্পানির পেছনের রেকর্ড দেখতে হবে।

গত অর্থবছর ৫টি কোম্পানি রাইট শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা নিয়েছিল।

মূলধন বাড়াতে কোম্পানিগুলো বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে যে শেয়ার বিক্রি করে তাই রাইট শেয়ার। আর চলতি বছর খাদ্য ও সমজাতীয় খাতের কোম্পানি বঙ্গজ ১টি শেয়ারের বিপরীতে ৩টি শেয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রিমিয়াম প্রস্তাব করা হয়নি। অভিহিত মূল্যে এসব শেয়ারের দাম ১৬ কোটি টাকা। ৭৮ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৩০ কোটি টাকা সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। ঢাকা ডাইং বাজার থেকে ১১৮ কোটি টাকা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

এ ছাড়া ৭৪ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৬১ কোটি টাকা নেবে জিপিএইচ ইস্পাত, ১২৫ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫১ কোটি টাকা নেবে আইডিএলসি ফিন্যান্স এবং ১৭ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ৫১ কোটি টাকা নেবে সামিট এলায়েন্স পোর্ট।

অন্যদিকে ৯টি কোম্পানি রাইট শেয়ারের আবেদন করলেও মৌল ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় তা নাকচ করে দেয় বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হল : বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বিচ হ্যাচারি, সেন্ট্রাল ফার্মা, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন সন, জেএমআই সিরিঞ্জ, ম্যাকসন্স স্পিনিং, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স এবং সাফকো স্পিনিং।

সূত্র জানায়, ২০১২ সালে ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৮৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে যা ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে ৮টি প্রতিষ্ঠান ১৮ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১৮০ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৯টি প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ামসহ ২ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা নিয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাইট শেয়ারের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতে আইনগত বাধা নেই। তবে কোম্পানি কোন খাতের টাকা কোন খাতে খরচ করে তা বিএসইসিকে নজরদারি করতে হবে। কোনো কোম্পানি অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান বলেন, কোম্পানিগুলো মূলধন সংগ্রহ করে তার প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। এতে বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয়ই লাভবান হবে। কিন্তু কোম্পানি টাকা নিয়ে অনিয়ম করলে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিএসইসির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *