জীবন চন্দ্র দাসকে কেন্দ্র করে বিএসইসি-ডিএসই

jibonনিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) জীবন চন্দ্র দাসকে চাকরিচ্যুত করার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ২৮ ডিসেম্বর ডিএসইর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো নোটিশে দুই কার্যদিবসের মধ্যে ৪টি বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইকে পাঠানো নোটিশে বিএসইসি জানতে চেয়েছে, জীবন চন্দ্রকে চাকরিচ্যুত করা ডিএসইর চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী হয়েছে কিনা? তদন্তের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে কিনা? জীবন চন্দ্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে কিনা? এবং বোর্ডসভায় বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল কিনা?

এদিকে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে মঙ্গলবার পর্ষদ সভায় বসে ডিএসই। এতে বিএসইসিকে কী জবাব দেয়া হবে, সে সম্পর্কে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ তা বিএসইসিতে পাঠানো হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর কোনো কারণ ছাড়াই মহা-ব্যবস্থাপক জীবন চন্দ্রকে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরিচ্যুত করে ডিএসই। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি অফিস করেন। তবে রাতে তাকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি জানানো হয়। সোমবার বিষয়টি ডিএসইর সব বিভাগকে অবহিত করা হয়।

ডিএসইর হিসাব শাখার জিএম পদে দায়িত্ব পালন করা জীবন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কী কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই মহা-ব্যবস্থাপক পদের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করায় ডিএসইর কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় সব কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগ উঠেছে ডিএসইর একজন স্বতন্ত্র পরিচালকের হস্তক্ষেপেই জীবন চন্দ্রকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর আগে জীবন চন্দ্রের গাড়ির ড্রাইভার প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে এই পরিচালকের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করারও অভিযোগ আছে। গত ২৩ ডিসেম্বর, বুধবার এ কারণে ডিএসইর হিসাব শাখার কর্মকর্তারা আধা ঘণ্টা কর্মবিরতিও পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *