শাহজি আতংকে বিনিয়োগকারীরা

biniogনিজস্ব প্রতিবেদক :

শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির শেয়ারকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কঠোর অবস্থানের কারণে ব্রোকারেজ হাউস ও ব্যক্তিশ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরণের আতংক তৈরি হয়েছে।

সব ব্রোকার হাউসকে গত মঙ্গলবার কমিশনের জরুরি সভায় শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিএসইসি পাঠানোর বাধ্যবাধকতা আরোপে পুরো বাজার পরিস্থিতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বিনিয়োগকারীরা জানান, শেয়ার দর বাড়বে, আর সেখান থেকে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। কিন্তু দর অতিমূল্যায়িত হলে তা নিয়ন্ত্রন করবে নিয়ন্ত্রন সংস্থারা। আর এটা করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। শাহজিবাজার নিয়ে যেন প্রতিটি শেয়ারের অতিমূল্যায়িত হওয়া এবং তার পরিণাম নিয়ে আতংক না ছড়া্য় সেদিকে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) লক্ষ্য রাথতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

এ কারণে প্রায় কোনো ব্রোকার হাউসেই শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারের ক্রয়াদেশ নেয়া হচ্ছে না। ক্রয়াদেশ দিলে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থেকে বিভিন্ন ধরনের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি ব্রোকার হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ব্যক্তিশ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারী যাদের কাছে এ কোম্পানির শেয়ার এক লাখের বেশি রয়েছে, তাদের লেনদেনও কঠোর পর্যবেক্ষণে রেখেছে কমিশন।

এ পরিস্থিতিতে কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারের লেনদেন থেকে বিরত রয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এতে গত দুইদিনে এ শেয়ারটির বিপুল পরিমাণ বিক্রয়াদেশ থাকলেও ক্রেতা না পাওয়ায় সর্বনিম্ন দরেও তা বিক্রি হয়নি। অথচ গত মঙ্গলবার পর্যন্ত উল্টো চিত্র ছিল।

বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যক্তিশ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা, প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে ডিএসইর লেনদেন নেমে এসেছে ৫০০ কোটি টাকার নিচে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *