ডিএসইতে পিই রেশিও ০.২৩% কম

peস্টকমার্কেট ডেস্ক :

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ০.২৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বর্তমানে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬.৭১ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৬.৭৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ গতসপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.০৪ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে পিই বেড়েছিল ৩.১৮ শতাংশ।

বর্তমানে খাতভিত্তিক পিই’র হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ৭.১৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৩৩.৭৮, প্রকৌশল খাতের ২৫.৫১, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩৫.০৪, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.১৯, পাট খাতের ১২৪.৭৯, বস্ত্র খাতের ১১.২১, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৩৭, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৪.৪৪, সিমেন্ট খাতের ৩০.৪৫, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৯.৫১, চামড়া খাতের ৭৭.৪৮, সিরামিক খাতের ৩২.২৫, বীমা খাতের ১৫.৫৮, বিবিধ খাতের ২৮.১৫, পেপার ও প্রকাশনা খাতের ১৮.৭৯, টেলিযোগাযোগ খাতের ২২.১৭, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৫.৭২।

এদিকে ক্যাটাগরিভিত্তিক হিসাবে ‘এ’ ক্যাটাগরির পিই অবস্থান করছে ১৬.০২ পয়েন্টে, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮০.৪১, ‘জেড’ ক্যাটাগরির -২২.৪৭ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরির পিই অবস্থান করছে ৩১.৪০ পয়েন্টে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

নতুন নিয়মে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির ফি

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

নতুন লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির ফি কমানো হয়েছে। এই নিয়মে ১০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধন বিশিষ্ট কোম্পানিকে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে। পূর্বের লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী এর হার ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।

গত ১২ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নতুন লিস্টিং রেগুলেশনসের গেজেট হয়েছে। গত জুনের শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ রেগুলেশনস অনুমোদন করেছে। আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হওয়ার পর অথবা ডিরেক্ট লিস্টিং বিধি অনুযায়ী এ রেগুলেশনস অনুযায়ী কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। আর তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে কেনাবেচার সুযোগ পায়।

তবে তালিকাভুক্তি ফি কমানো হলেও বাড়ানো হয়েছে বার্ষিক তালিকাভুক্তি নবায়ন ফি। পূর্বে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনী কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধনের ওপর সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ হারে ফি প্রদান করতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিএসইর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, লিস্টিং ফি কমানোর কারণে এ খাত থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের আয় কমবে। তবে বার্ষিক নবায়ন ফি সর্বনিম্ন ৩৩ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ খাত থেকে ডিএসইর বার্ষিক আয় তালিকাভুক্তি ফির তুলনায় বেশি। ফলে সম্মিলিতভাবে উভয় খাত থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের আয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বাড়বে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যয়।

পূর্বে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনী কোম্পানিকে সর্বনিম্ন ৬৫ হাজার টাকা বার্ষিক প্রদান করতে হতো। শতাকরা হারে তা শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। নতুন আইনে তা শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর ১০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন বিশিষ্ট কোম্পানিকে পূর্বে শূন্য দশমিক ০১ হারে বার্ষিক প্রদান করতে হলেও এখন তা শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া পূর্বে তালিকাভুক্তি ফি সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ নির্ধারণ করা ছিল। নতুন আইনে তা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন তালিকাভুক্তি ফি করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর সর্বোচ্চ তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ঘিরে চলমান শেয়ারবাজার

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার, যার ৪০ শতাংশের সরবরাহকারী হবে বেসরকারি খাত। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন গড়ে দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ খাতের শেয়ারগুলোর গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে। বর্তমান বাজারে এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়াররের প্রতি বেশি আগ্রহী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ৬ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো সেখানে শেয়ারবাজারের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না। এছাড়া তালিকাভুক্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি এ সময়ে তাদের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ কোম্পানির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এছাড়া এ সময়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, গেল অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকার চলতি বছর রফতানিতে ৭ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারণে বিশেষ বিক্রয় চাপ দেখা না গেলেও সব মিলিয়ে সতর্ক ছিলেন বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে ঈদের আগে-পরে দুই সপ্তাহের সূচক বৃদ্ধির পর নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্পমেয়াদে মুনাফা তুলে নেয়ার পর নতুন শেয়ার কিনতে অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতির চেয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্ধবার্ষিক ও প্রান্তিক প্রতিবেদনই তাদের অনেকের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

প্রায় সব খাতেরই কিছু কোম্পানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি মুনাফা দেখিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক ফলাফল প্রকাশকারী বেশির ভাগ কোম্পানির আয় কমেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধের ফলাফল বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর কারণ মূলত বছরের শুরুর দিককার রাজনৈতিক অস্থিরতা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয়ে ঠিক কেমন প্রভাব ফেলেছে, এটি পর্যবেক্ষণ করা।

বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সূচক কিছুটা কমেছে। টানা নয় কার্যদিবসের দরবৃদ্ধির পর মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতার পাশাপাশি সপ্তাহজুড়েই সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। অবশ্য সূচকের হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যেই সপ্তাহ শেষে দৈনিক গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/