বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে যে চা চাষ করা সম্ভব, সে চিন্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাথা থেকেই এসেছিল। ‘বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী- ২০১৮ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই কাহিনি তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চা বাগান গড়তে নিজের অবদানের কথা উপস্থিত সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।
‘আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই, আমি পরামর্শ দেয়ার পর সেই উদ্যোগটা নিলেন। তারা (ভারতীয় কর্তৃপক্ষ) চাওয়ার পর একটা চারা দিল এবং ডিসি নিজের বাংলোয় চারাটা লাগালেন। তারপর সেই চারা টবে করে আমার কাছে নিয়ে এসে দেখালেন যে, আমাদের মাটিতে চা উৎপাদন করা সম্ভব। তারপরই আমরা উদ্যোগ নিলাম’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারিভাবে বাগান গেতে গেলে জটিলতা থাকায় বেসরকারি উদ্যেক্তাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে উদ্যোগ নেয়া হয় জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে করতে গেলে কখনও এটা হবে না। ওটা করতে গেলে অনেক প্রজেক্ট করো, এটা করো, ওটা করো..। বললাম, বেসরকারি খাতে কারা আছে, তাদের সুযোগটা করে দেয়া হোক। সেই সুযোগ করে দিয়েই পঞ্চগড়ের চা বাগান শুরু।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) যৌথভাবে তিনদিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। দেশ-বিদেশের চাপ্রেমীদের কাছে চায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু এবং চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান আরদাশিল কবির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিটিবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। দেশের চা শিল্পের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। শেখ হাসিনা অনুষ্ঠান স্থল থেকে মতিঝিলে ৩০তলা বিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু চা ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগে চা বহুমুখীকরণসহ সাতটি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ সাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ