ফারমার্স ব্যাংকজালিয়াতি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) নয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৬ মার্চ) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করেন উপপরিচালক সামছুল আলম।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলে। গত সোমবার (৪ মার্চ) দুদক থেকে ৯ কর্মকর্তাকে নোটিশ পাঠানো হয়।
যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচ জন ব্যাংকটির শেরপুর শাখার কর্মকর্তা। তারা হলেন— অপারেশন্স ম্যানেজার এডিএম সোলাইমান, ক্রেডিট অফিসার কামরুল ইসলাম, ইমাম হোসাইন, মো. আবদুল্লাহ ও ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মো. আবু নাঈম।
অন্য চার জন হলেন— প্রধান কার্যালয়ের করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনের এসভিপি অলক কুমার বিশ্বাস, হেড অব এইচআরডি রিতা সেন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহজাহান আমিন এবং গুলশান শাখার হেড অব সিএডি আশীষ কুমার লষ্কর।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, ‘ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে নয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’
ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও তার ছেলেসহ কয়েকজন ব্যাংকারকে আসামি করে এর আগে তিনটি মামলা হয়। ওই সব মামলায় গ্রেফতার হয়ে বাবা-ছেলে দুজনই কারাগারে আছেন।
২০১২ সালে ফারমার্স ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী।
জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনিয়ম তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তবে মহিউদ্দীন খান আলমগীরকে এপর্যন্ত দুদকে তলব করা হয়নি। কোনও মামলায় আসামিও করা হয়নি তাকে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম