বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর নতুন কৌশলে হ্যাকাররা : সুইফট

swiftস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায়। এই বিপুল অংকের ডিজিটাল চুরির পর নতুন পথ বেছে নিয়েছে হ্যাকাররা। তারা এখন অল্প পরিমাণ অর্থ টার্গেট করে ডিজিটাল চুরির চেষ্টা করছে। আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক সুইফট গত বুধবার ৮ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছর হ্যাকাররা ২ লাখ ৫০ হাজার মিলিয়ন এবং ২ মিলিয়ন অর্থ চুরির চেষ্টা করেছিল। যা আগের দুই বছরের তুলনায় অনেক কম। এই পরিমাণ অর্থ জালিয়াতির ৮৩ শতাংশ শিকার হয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো; যেগুলোতে ব্যাপক পরিমাণে দুর্নীতি আছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা হয়; যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত ছিল। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের জুয়া বাজারে পাওয়া গেছে। তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। কিন্তু হ্যাকাররা বসে নেই।

বিবৃতিতে সুইফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অর্থ লেনদেনের যে সর্বোচ্চ অংকটি ‘নিরাপদ’ হিসেবে নির্দেশনা দেওয়া আছে; সেই কারণেই অনেক ব্যাংক এখন বড় ধরণের জালিয়াতির হুমকির মুখে রয়েছে। বাংলাদশ ব্যাংকে সাইবার জালিয়াতির পর ব্যক্তিগত প্রতারণামুলক লেনদেনগুলো ধরার জন্য অর্থের সর্বোচ্চ মাত্রা বাড়ানো হয়েছে; যা এসব প্রতারণা ধরার পথে বাধা সৃষ্টি করছে।’

গোটা বিশ্বে ১১ হাজার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সুইফটের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেনের সুবিধা নিয়ে থাকে। এটি সদস্য ব্যাংকগুলোকে ওয়্যার-ট্রান্সফার অর্ডারের সুবিধাও দেয়। এখানেও একটা সমস্যা আছে। যদি কোনো ব্যাংকের ওয়্যার-ট্রান্সফার অর্ডারটি বাতিল হয়ে যায়; সেই সুযোগ নিয়ে হ্যাকাররা এর চেয়ে কম অ্যামাউন্টের ভুয়া অর্ডার দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে!

গত কয়েক বছর হ্যাকাররা এই কাজটি করত সাধারণত ছুটির দিনে কিংবা ব্যাংক আওয়ারের বাইরের সময়টুকুতে। এজন্য তারা ‘হিউম্যান ডিটেকশন’ পদ্ধতি পর্যন্ত বাইপাস করে ফেলত! তবে আশার কথাও শুনিয়েছে সুইফট। তারা জানায়, গত বছর হ্যাকারদের এসব আক্রমণের মাত্র ১ ভাগ সফল হয়েছে। তার মানে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে; কিন্তু সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *