১৯ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নিয়োগপত্র ও মাসিক খাদ্যভাতা প্রদানসহ ১৫ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে নৌযান শ্রমিকদের ছয়টি সংগঠনের জোট নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম অধিদপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে জোটের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন।

সংগঠনের পক্ষে অন্যান্য দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে, নৌযানের মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ (চালকদের যোগ্যতা নির্ধারণী) পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নৌ অধিদপ্তর কর্তৃক শ্রমিকদের নানা ধরনের হয়রানি বন্ধ, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ও কল্যাণ তহবিল গঠন।

এর আগে ১১ দফা দাবিতে ২০ অক্টোবর মধ্যরাত (১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট) থেকে সারা দেশে অনির্র্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শ্রম ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও ঢাকা নদীবন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক শোয়েবুর রহমান, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ শিকদার ও দপ্তর সম্পাদক মো. কবির হোসেন এবং লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন- মংলা বন্দর শাখার কার্যকরী সভাপতি মো. ফিরোজ মাস্টার।

মানববন্ধনে নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও খাদ্যভাতা প্রদান, সার্ভিস বুক খোলা, কল্যাণ তহবিল গঠন, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে অনুষ্ঠিত মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্তৃক অকারণে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ১৫ দফা দাবির সমর্থনে আমরা ইতোমধ্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। এছাড়া শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবাই আশ্বাস দিলেও আমাদের দাবি আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।

এই নৌযান শ্রমিক নেতা আরো বলেন, আমাদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৌ শ্রমিকদের জন্য কন্ট্রিবিউটরি প্রফিডেন্ট ফান্ড ও ফিশারীসহ অন্যান্য বেসরকারি খাতের নৌ শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, মাসিক খাদ্যভাতা প্রদান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পরীক্ষায় অনিয়ম ও হয়রানী বন্ধ- এসব দাবি পূরণ না হলে নৌ সেক্টর কখনও স্থিতিশীল হবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *