২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি। ওই সময়ে হতদরিদ্রের হার কমে শূন্যের ঘরে নেমে আসবে। আর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) তৈরি এ প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় তোলার কথা। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জিইডি বলছে, নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হচ্ছে সুশাসন, গণতন্ত্রায়ণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
জানতে চাইলে জিইডির সদস্য শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি হলো মোটাদাগে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথচিহ্ন। কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেই কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করতে হবে।’
তিনি জানান, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কত টাকা লাগবে, তা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ঠিক করা হবে। তবে বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হবে। বর্তমান বাজারমূল্যে তখন মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি, যা বর্তমানে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে হতদরিদ্র নির্মূল হবে (৩ শতাংশে নামলে নির্মূল বলা হয়)। আর ২০৪১ সালে হতদরিদ্রের হার কমে দশমিক ৬৮ শতাংশ হবে, যা বর্তমানে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২০৪১ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এই হার বর্তমানে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বর্তমানে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা ২০৩০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে জিডিপির ৪০ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর ২০৪১ সালে মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
অন্যদিকে বর্তমানে মোট রাজস্বের পরিমাণ জিডিপির ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সেটি ২০৩০ সালে বেড়ে ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ হবে। আর ২০৪১ সালে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। সূত্র : প্রথম আলো
স্টকমার্কেটবিডি.কম/