স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে ডাক বিভাগের ‘ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিসেস’ বা ইএমটিএসের সেবা মাসুল কমানোর প্রস্তাব করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ইএমটিএসের সার্ভিস চার্জ কমানোর প্রস্তাবিত একটি তালিকা তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, বর্তমানে ইএমটিএসের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাঠাতে গেলে একজন গ্রাহককে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। অন্যদিকে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে ফি দিতে হয় ৯২৫ টাকা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ইএমটিএসের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ফি কমিয়ে ১০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ডাক অধিদপ্তর। একইভাবে চার হাজার টাকা পাঠানোর ফি বিদ্যমান ৭৪ টাকা কমিয়ে ২০ টাকা, পাঁচ হাজার টাকা পাঠানোর ফি সাড়ে ৯২ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, ১০ হাজার টাকা পাঠানোর ফি ১৮৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, ২০ হাজার টাকা পাঠানোর ফি ৩৭০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা, ৩০ হাজার টাকা পাঠানোর ফি ৫৫৫ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা এবং ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর ফি বিদ্যমান ৯২৫ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সার্ভিস চার্জ কমানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেখিয়েছে, পাঁচ বছরের ব্যবধানে ডাক বিভাগের ইএমটিএসের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিমাণ ৯৫ শতাংশ কমেছে। অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ এবং মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সহজলভ্যতার কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছে ডাক বিভাগ। এ অবস্থায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ইএমটিএসের সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ প্রস্তাব জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএমটিএসের মাধ্যমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেবাগ্রহীতাদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল মোট দুই হাজার ১৬১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাঠানো হয়েছে মাত্র ১১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে ইএমটিএসের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ কমেছে দুই হাজার ৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা, যা প্রায় ৯৫ শতাংশ।
ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, টাকা পাঠানোর ওপর অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ এবং বেসরকারি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আগ্রাসী ব্যবসার কারণে পোস্ট অফিসের সেবার এই দুরবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য ইএমটিএসের চার্জ কমানোর প্রস্তাব করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে ইএমটিএসের ফি কমানোর বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড