করোনা মহামারিতে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিশ্বের শেয়ারবাজার। এদিকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হংকংভিত্তিক এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ক্যাপিটাল লিমিটেডের (এএফসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার সবচেয়ে বেশি ভালো পারফরম্যান্স করেছে। এই মাসে দেশের শেয়ারবাজার ১৫.৮০ শতাংশ উত্থান হয়েছে, যা এশিয়া সবচেয়ে বেশি।
ব্লুমবার্গের তথ্য ব্যবহার করে এএফসি এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ফান্ডের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৫.৮০ শতাংশ, যা এশিয়ারসহ বিশ্বের সেরা পারফরম্যান্স। সুদের হার কমে যাওয়া, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং পুনরায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করে দেওয়ায় এই অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশের পরে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান ভিয়েতনামের ভিএন সূচকে। আগস্টে সূচকটি বেড়েছে ১০.৪০ শতাংশ। আর ৪.৭০ শতাংশ বেড়ে তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ ইনডেক্স। এর পরের অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার সিএসই অল ইনডেক্স বেড়েছে ৪ শতাংশ।
এশিয়ার শেয়ারবাজার বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মূল্য-আয় অনুপাত (পি/ই) বিবেচনায় বলা হয়েছে, এশিয়ার কাজাখস্তানের শেয়ারবাজারে পিই অনুপাত ৬.৫, যা সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে।
এর পরে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারের পিই ৭.৫, শ্রীলঙ্কার ৮.৯, বাংলাদেশের ১১.৮, ভিয়েতনামের ১৩.৮০, থাইল্যান্ডের ১৬.৫, ফিলিপাইনের ১৭.৩০ ও ভারতের শেয়ারবাজারের পিই ২৩.৯০।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশিদের নিট বিক্রির পরিমাণ বেশি সত্ত্বেও এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বাজারে বিদেশিরা সবচেয়ে কম নিট বিক্রি করেছে। বাংলাদেশের বাজারে বিদেশিরা চলতি বছরে (জানুয়ারি-আগস্ট) শেয়ার কেনার চেয়ে ৯০ মিলিয়ন ইউএস ডলারে বেশি বিক্রি করেছে। এর পরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন নিট বিক্রি করেছে শ্রীলঙ্কার বাজারে। ওই বাজারে বিদেশিরা ১৭৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে। এরপর ভিয়েতনামের বাজারে বিদেশিরা নিট ৩১৪ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/