রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ইপিজেডে শ্রমিকদের ইউনিয়ন করতে দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, জানতে চেয়েছেন সফররত ইউরোপিয়ান সংসদীয় প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা।
বুধবার সচিবালয়ে কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের নেতার এ প্রশ্ন তোলেন। দলের নেতা জিন ল্যাম্ববার্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা শ্রম আইন সম্পর্কেও জানতে চান।
পরে সাংবাদিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ইপিজেডের বিষয়টি দেখভাল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তবে ৮০ দশকে ইপিজেড প্রতিষ্ঠার সময় মালিকদের চাপে ইউনিয়ন করা অধিকার ব্যতিরেকে আইন করা হয়। এটি সংশোধন করে ইউনিয়ন করার অধিকার রেখে অচিরেই আইন করা হবে। যে কোনো কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিক চাইলেই তারা ইউনিয়ন করতে পারবে। বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কারখানায় ইউনিয়ন রয়েছে। তবে দেশে কারাখানা রয়েছে কয়েক লাখ।
শ্রম আইন সম্পর্কে ইইউ ও আইএমও ইউরোপীয় মান চায়। এটি বাংলাদেশ সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন চুন্নু। তিনি বলেন, বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশে কাজ করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বিচারী ব্যবহার করে বাংলাদেশের সঙ্গে। তারা সব বিষয়ে তাদের মানে চায়। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার দোহাই দিয়ে দিনে দিনে বাংলাদেশি পণ্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম