স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :
বিশ্বের প্রধানতম পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরও মার্কিন সরকারের প্রণোদনার ঘোষণায় এশিয়ার শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। গত জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে এর দর ।
বিশ্বব্যাপী প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। ফলে আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নাগাদ শেয়ারের রেকর্ড ঊর্দ্ধগতি লক্ষ্য করেছে এশীয় পুঁজিবাজারগুলো।
এশিয়ার মূলধনী বাজার চাঙ্গা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বার্ষিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাও। একইসঙ্গে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সংঘাতের উত্তেজনায় বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর।
জাপান বাদে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ারবাজারের বৃহত্তর সূচক এমএসসিআই ইনডেক্স দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৩৬.৪ পয়েন্ট অর্জন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে মহামারির কল্যাণে সবচেয়ে খারাপ মন্দার কবলে পড়েছে জাপান। চতুর্থ প্রান্তিকে সেখান থেকে উত্তরণের গতি স্তিমিত হয়ে পড়ার তথ্য প্রকাশের পরও,সোমবার জাপানের নিক্কেই সূচক বেড়েছে ১.১ শতাংশ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অপর বৃহৎ অর্থনীতি আস্ট্রেলিয়ার সার্বিক বাজার সূচক দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ে।
এশীয় বাজারে কার্যদিবসের শুরুর দিকের লেনদেনে এসঅ্যান্ডপি ৫০০’ এর ই-মিনি ফিউচার্স সহযোগী সূচকের দর বাড়ে দশমিক ৩ শতাংশ।
চান্দ্রবর্ষের ছুটি উপলক্ষে বন্ধ ছিল চীন ও হংকং- এর শেয়ারবাজার। এছাড়া, আগামীকাল পেসিডেন্ট দিবস উপলক্ষে বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার।
চলতি সপ্তাহে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের প্রেক্ষিতেই আশাবাদী। ওই বৈঠকে সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন নীতি-নির্ধারকরা।
বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ন্যাটিসিক্স ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার্স সল্যিউশন্স- এর বৈশ্বিক বাজার কৌশল বিভাগের প্রধান এস্টি ডুয়েক বলেন, “আমাদের মতে, যতক্ষন মূল্যস্ফীতি ধাপে ধাপে হবে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারও ভালো করবে। তবে মূল্যস্ফীতি অস্থির গতির হলে তা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরাবে।”
বিশ্বের প্রধানতম পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরও মার্কিন সরকারের প্রণোদনার ঘোষণায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফলে গত জানুয়ারির পর এখন সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে এর দর।
গত রবিবার ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি জোট ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের একটি বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন ধবংসের কথা জানায়। ড্রোনটির লক্ষ্য ছিল সৌদি ভূখণ্ড। এই সংবাদে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যার উত্তাপে লাভবান হয় জ্বালানি বাজার।
ফলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ ডলার বেড়ে, ব্যারেলপ্রতি ৬৩.৪৩ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দর ১.২ ডলার বেড়ে ৬০.৭ ডলারে লেনদেন হয়।
সূত্র: রয়টার্স
স্টকমার্কেটবিডি.কম/