সুদহার কমানোর এক মাস পরও শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার গঠিত বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন ঋণ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার আগ্রহ নেই। তবে ঋণ নেওয়ার যোগ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও আইসিবি।
গত ২৯ জুন এ তহবিলের সুদ দেড় শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আগে তহবিলের সুদের হার ছিল ৯ শতাংশ। ঋণ প্রদানের জন্য বরাদ্দ করা তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার আগ্রহ কমার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সুদের হার কমানো হয়।
সূত্র থেকে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বড় ধরনের লোকসানের কারণে বাজার ছেড়েছেন। অনেকের পোর্টফোলিওতে মূলধনী লোকসান থাকায় এখান থেকে বিনিয়োগ ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েছেন। তাদের অনেকেই অন্য কোনো ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকে নতুন বিও হিসাব খুলে শেয়ার ব্যবসা করছেন। চিঠি ও ফোনে যোগাযোগ করেও ঋণ গ্রহণে আগ্রহী করা যাচ্ছে না তাদের।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি পোষাতে মার্জিন ঋণ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের স্বল্পসুদে ঋণ দিতে এ তহবিল গঠন করে সরকার। ২০১২ সালে এজন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ওই টাকার মধ্যে ৬৪২ কোটি ৯ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ২৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা এখনও অব্যবহৃত আছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ