‘প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজার দূর্বল’

imfনিজস্ব প্রতিবেদক :

পাশ্ববর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজার দূর্বল বলে দাবি করছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড (আইএমএফ)। প্রতিষ্ঠানটির মতে, দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের টাকার জোগান দেওয়ার জন্য দেশের ব্যাংকিং খাতও যথেষ্ট প্রস্তুত নয়। বর্তমানে এই ব্যাংকিং খাতই বিনিয়োগের প্রধান উৎস।

গত বৃহস্পতিবার (ওয়াশিংটন সময়) বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করে দেশের বিনিয়োগ নিয়ে এ কথা বলেছে আইএমএফ। আর্টিকেল ফোর মিশনের আওতায় এই পর্যালোচনা করেছে আইএমএফ।

অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো পর্যালোচনা করে আইএমএফ বলছে, এখনো পার্শ্ববর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় এ দেশের শেয়ারবাজার ততটা শক্তিশালী নয়। বিনিয়োগের জন্য অর্থায়নের উৎস হিসেবে শেয়ারবাজারের অংশীদারত্বে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৬ সালের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএমএফ বলেছে, আর্থিক বাজার উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। বাংলাদেশ এই সূচকে তলানির দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশের ওপরে আছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম ও ভুটান।

আইএমএফ বলছে, বিনিয়োগের অর্থের জোগানের বেশ কিছু উৎস আছে। এগুলো হলো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের নিজের অর্থ, বিদেশি বিনিয়োগ, ব্যাংক ঋণ ও শেয়ারবাজার। বর্তমানে জিডিপির ১ শতাংশের মতো আসে বিদেশি বিনিয়োগ থেকে। এটি বৃদ্ধির সুযোগ আছে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎসই প্রধান।

আইএমএফ আরও বলেছে, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিনিয়োগের চাহিদা পূরণে বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা সহায়ক হবে। তবে অভ্যন্তরীণ খাতই বিনিয়োগের প্রধান ভরসা বলে মনে করে আইএমএফ।

আইএমএফের মতে, তিনটি উৎস থেকে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের জোগান আসতে পারে। এগুলো হলো ব্যাংকিং খাত, বন্ড বাজার ও পুঁজিবাজার। এই তিনটি খাতে পার্শ্ববর্তী ও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় দুর্বল অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উদ্ধৃতি দিয়ে আইএমএফ বলেছে, আগামী পাঁচ বছরে ৮ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্য অর্জনে ২০২০ সালের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত জিডিপির ২৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। ২০১৪ সালের হিসাবে তা ২১ শতাংশ আছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *