সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে মালেক স্পিনিং

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২০ থেকে ২৪ জুন) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারের দাম বেড়েছে মালেক স্পিনিং মিলস লিমেটেডের। ডিএসইর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহ শেষ কার্যদিবসে মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২২.৭০ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪.৭০ টাকায়। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২ টাকা বা ৫২.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে, ডিএসইতে সাপ্তাহিক শেয়ারের দাম বাড়ার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে খান ব্রাদার্সের ২৯.৬৩ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ২৮.৭৯ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ২৩.৯৯ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ২৩.৬২ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২২.৬২ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ২১.৯৭ শতাংশ, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসর্টের ২১.৯৩ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলসের ২০.৯৭ শতাংশ ও এনভয় টেক্সটাইলের ১৯.২৩ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৮.২৪ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষেও পিই রেশিও বেড়ে অবস্থান করছে ১৮.৩৫ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও বেড়েছে ০.১১ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ।

তথ্য মতে, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮৮ পয়েন্টে। এছাড়া, টেলিযোগাযোগ খাতে ১১.৩০ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১১.৭৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৩.৬১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.৪১ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৯.৬৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতে ২০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ২০.১২ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২১.১৫ পয়েন্টে, বিমা খাতে ২৫.৬৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ২৭.২৭ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ৩৬.৮৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ৪২.৯৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৪৯.৮১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ৫৯.৩১ পয়েন্টে, চামড়া খাতে ৮৭.৪৯ পয়েন্টে, পেপার খাতে ৯৬.৮৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতে (-৩৬.৭৭) পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ব্যাংক খোলার আভাষ, কমবে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদেশে ঘোষিত শাটডাউন বা কঠোর লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকলেও খোলা থাকতে পারে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার। তবে শেয়ারবাজারেও লেনদেনের সময় কিছুটা কমতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর প্রয়োজন মনে করলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে পারে সরকার।

এবারের লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

লকডাউন চলাকালে জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লকডাউনে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বাধ্য করতে কঠোর হবে সরকার।

লকডাউন চলাকালে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও ব্যাংক খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। কারণ ব্যাংকিং জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় লেনদেনের সময় কিছুটা কমানো হতে পারে। কিন্তু সময় কতটা কমবে বা আদৌ কমানো হবে কি-না তা চূড়ান্ত হবে লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর সেটি পর্যালোচনা করে। শনিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

ব্যাংক খোলা থাকলে যে শেয়ারবাজারও খোলা থাকবে, তা একাধিকবার বিএসইসি নিশ্চিত করেছে। এবারও ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজার খোলা থাকবে । তবে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় পুননির্ধারণ করা হতে পারে। এই সময়ও কিছুটা কমতে পারে।

বর্তমানে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় সাড়ে ৪ ঘণ্টা। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে তা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬৫৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকার।

ন্যাশনাল ফিডস মিল লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ২৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ১৯২ কোটি ১৩ লাখ, মালেক স্পিনিংয়ের ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ১৪৮ কোটি ৯৩ লাখ, কাট্টালী টেক্সটাইলের ১৪৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার, ফরচুন সুজের ১৩১ কোটি ৭৩ লাখ, ড্রাগন সোয়েটারের ১২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ও কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ১২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫০৪ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় সবগুলো সূচকই বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার ৫২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৯ হাজার ৭৯৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২.৮০ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ১ হাজার ৯০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ২.৮০ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০.০৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯৯ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১০.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২৫০৪ কোটি টাকা বা ০.৪৯ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস