বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে আদায় করা ৬১৫ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাংকের করা আপিল আজ বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতির বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া ৬১৫ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দিয়েছিল। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি ফেরত পাচ্ছে ১৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা সিমেন্ট ৫২ কোটি টাকা, ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ইস্টার্ন হাউজিং ৩৫ কোটি টাকা ফেরত পাবে।
এছাড়া এস আলম গ্রুপের অন্য ৬ প্রতিষ্ঠানের সাথে তালিকাভুক্ত এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টীল সম্মিলিতভাবে ৬০ কোটি টাকা ফেরত পাবে।
পাশাপাশি আইপিও’র পাইপ লাইনে থাকা বসুন্ধরা পেপার এবং ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি লি: সম্মিলিতভাবে ১৫ কোটি টাকা ফেরত পাবে।
এছাড়া দি কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড এবং বারাউরা টি কোম্পানি লিমিটেডকে ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ, ইউনিক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজকে ৭০ লাখ, বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৭ কোটি ১০ লাখ এবং ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের এক পরিচালককে ১৮৯ কোটি ও ইউনিক ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের সত্ত্বাধিকারীকে ৬৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়।
এই টাকা যেন ফেরত দিতে না হয় সে জন্য হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম এবং বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী প্রমুখ শুনানি করেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম