শেয়ারবাজারে বহুল আলোচিত ১৯৯৬ সালের চিটাগাং সিমেন্টের কেলেংকারি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক জহিরুল হক। রাজধানীর হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক হুমায়ুন কবীর।
ওইদিন সাক্ষ্য মামলার বাদী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মনিরউদ্দিন আহমেদ। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার খন্দকার মাহাবুব হোসেন ও মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। বাদী পক্ষে বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা খান।
এর আগে ১৬ আগস্ট মামলার বাদী এমএ রশীদ খানকে জেরা করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আর ১৭ আগস্ট ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেংকারির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জেরা করা হয়। ওই দিনই এ মামলার প্রথম জেরা ও জবানবন্দি গ্রহণ শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
পরবর্তী সময়ে ৩০ আগস্ট বাদীপক্ষ এ মামলা পরিচালনায় আরও সময় চাইলে জবানবন্দি গ্রহণের দিন ১ সেপ্টেম্বর ধার্য্য করেন। কিন্তু এদিনও সাক্ষী আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জেরা সম্পন্ন না হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগাং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
এরপর কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অংকের শেয়ার হস্তান্তর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে কী পরিমাণ ও কোন ব্যক্তি এ কাজ করেছেন তা ১৯৯৬ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।
এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা থাকাসত্ত্বেও রকিবুর রহমান ও এএস শহিদুল হক বুলবুল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স-১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুসারে কারসাজি বলে মনে করে গঠিত তদন্ত কমিটি।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম