ঋণখেলাপিদের গণসুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছে সেটাকে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদের রিট আবেদনের পর উচ্চ আদালত এ নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার ঋণখেলাপিদের গণসুবিধা দিয়ে যে বিশেষ নীতিমালা জারি করা হয়, তাতে ঋণখেলাপিদের ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নেমে যায়। পাশাপাশি ঋণ পরিশোধে ১২ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ টানা ১০ বছর সময় বেড়ে যায়। অন্যদিকে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করেও এক অঙ্কের সুদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ভালো গ্রহীতারা। তাদের ঋণ পেতে এখন ১৪ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুনতে হচ্ছে। অর্থাৎ খেলাপির চেয়ে দ্বিগুণ সুদ ভালো গ্রাহকের ঘাড়ে পড়ছে।
এ ছাড়া এর আগে ভালো গ্রাহকদের যেসব প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি চার বছরেও। তাই খেলাপিদের নয়, ভালো গ্রাহকদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তাঁরা বলছেন, যারা ভালো গ্রাহক ও নিয়মিত ঋণের টাকা শোধ দেয়, তারা কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না। ভালো গ্রাহকদের প্রণোদনা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনারও যথাযথ বাস্তবায়ন দাবি করেছেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের এসব দাবির প্রতি সহমত জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতিবিদরাও। তাঁরা বলছেন, নিয়মিত ঋণের টাকা ফেরত দিয়ে ব্যাংক বাঁচিয়ে রাখে ভালো গ্রাহকরা। তাই ভালো গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা এবং সুদের ওপর ১০ শতাংশ প্রণোদনা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম