জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা অনলাইনে

soncoyস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সরকার আগামী অর্থবছর থেকে সারা দেশের সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা কার্যক্রমকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসবে। ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রের আসল ও সুদ চলে যাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গতকাল সোমবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে, এমন সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছে। সংস্থাগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং সোনালী ব্যাংক।

অর্থ বিভাগ ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ: অগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা’ শীর্ষক যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, তার আওতায় চলছে ‘জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প অনলাইন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ নামের আরেকটি কর্মসূচি। এই কর্মসূচি সঞ্চয় প্রকল্পের সুদ ও আসলকে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ করছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই ঢাকা মহানগরীতে, আগামী এপ্রিলে বিভাগীয় শহরে এবং জুন মাসের মধ্যে দেশের সব স্থানে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ১ জুলাই থেকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার আওতাবহির্ভূতভাবে কোনো সঞ্চয়পত্র লেনদেন করা যাবে না। তাই সংস্থাগুলোকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন দপ্তরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

এরই মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রমে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ব্যুরো অফিস (গুলিস্তান) এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে। অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গত ৩ ফেব্রুয়ারি। সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের ৪২টি ব্যাচে ভাগ করে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিন্যান্সের (আইপিএফ) কম্পিউটার ল্যাবে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রের অনলাইন তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। তথ্যভান্ডারের কাজ শেষ হলে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ই-টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) জমা দিতে হবে। নতুন ব্যবস্থায় ৫০ হাজার পর্যন্ত টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এর বেশি হলেই তা পরিশোধ করতে হবে চেকের মাধ্যমে। সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বরও দিতে হবে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে যাঁরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ই-টিআইএনও জমা দিতে হবে। এ উদ্যোগের ফলে সঞ্চয়পত্রে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরাই আসবে। চিহ্নিত করা যাবে তখন কালোটাকা বিনিয়োগকারীদেরও। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *