বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব (এফসি অ্যাকাউন্ট) সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো আইপিও আবেদনে প্রবাসীদের একই সুবিধা দেয়া অসম্ভব বলে জানিয়েছেন স্টেকহোল্ডাররা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন মত দিয়েছেন তারা।
তারা জানান, ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) আবেদন বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান পায়নি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক স্বপন কুমার বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারূফ মতিন ছাড়াও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি লিমিটেড (সিডিবিএল), বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিওর চাঁদা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ও বিদেশীদের অন্তর্ভুক্ত করে স্টক এক্সচেঞ্জকে নতুন প্রস্তাব দেয়ার নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। এরই অংশ হিসেবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ডিএসই। বৈঠকে বর্তমানের প্রচলিত পদ্ধতি অর্থাত্ ব্যাংকের মাধ্যমে এনআরবি বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনের অর্থ জমা দেয়ার বিধান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
ব্রোকার হাউসের মাধমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো প্রবাসীদের আইপিও আবেদনের ফি জমা দেয়ার সুবিধা দেয়া যাবে না বলে বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা জানিয়েছেন।
বৈঠকে ট্রেকহোল্ডাররা আইপিওর চাঁদা সংগ্রহে তাদের কমিশন পাঁচ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। বর্তমানে সংগৃহীত চাঁদার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ টাকা কমিশন হিসেবে পেয়ে থাকে ব্রোকার হাউস। এটি বাড়িয়ে সংগৃহীত অর্থের দশমিক ২৫ শতাংশ অথবা প্রতি আবেদনে ১০ টাকা কমিশনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর