প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ইস্যুর ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এ উদ্দেশ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস-২০১৫ সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। কমিশনের ৬০৩তম সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়।
সংশোধনীতে ইস্যুয়ার কোম্পানির স্পন্সর, পরিচালক ও ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডারদের ওপর ৩ বছর এবং অন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত শেয়ারের ওপর ১ বছর লক-ইন এর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে অন্য শেয়ারহোল্ডার বলতে আইপিওর আগে থেকে বিদ্যমান শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বুঝানো হয়েছে। স্পন্সর, পরিচালক ও আইপিও পূর্ববর্তী শেয়ারহোল্ডাররা লক-ইন মেয়াদে শেয়ার বিক্রি, উপহার কিংবা স্থানান্তর করতে পারবে না। প্রস্তাবে স্থির মূল্য পদ্ধতির আইপিওর ক্ষেত্রে নূ্যনতম বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা এবং ইস্যুর পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে আগ্রহী কোম্পানির বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা এবং ইস্যুর পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা হতে হবে। একজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী তাদের কোটার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পরিমাণ সিকিউরিটিজ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ