আপন জুয়েলার্সের মালিক ৩ ভাইয়ের জামিন বহাল

courtস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আপন মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও এ এম আমিন উদ্দিন । অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইয়ের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিনের মুক্তি পেতে আর কোন বাধা না থাকলেও আপন জুয়েলর্সের অপর মালিক দিলদার আহমেদ আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে।

এর আগে হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটিতে দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন। গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করে। রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। আইনজীবীরা জানিয়েছেন আজ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকলো।

গত মে মাসে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। তারপর সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর আপন জুয়েলার্সের অবৈধ লেনদেন বিষয়ে তদন্তে নামে।

গেল বছরের মে মাসের শেষ দিকে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। পরে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার, গুলজার ও আহমেদ আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *