কলকাতায় শুরু হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

কলকাতার সায়েন্সসিটি ময়দানে শুরু হল ২১তম ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ার’। ভারতের ‘দ্য বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিসিআই) এর উদ্যোগে এই মেলা চলবে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এটি পূর্ব ভারতের বৃহত্তম এবং গোটা ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রদীপ জ্বালিয়ে কলকাতার সায়েন্সসিটি অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ দিনের এই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিসিসিআই সভাপতি সুবীর চক্রবর্তী, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, আফগানিস্তান দূতাবাসের কাউন্সেলর কাদির শাহ, ভারতের বীমা সংস্থা লাইফ ইন্সুরেন্স অফ ইন্ডিয়া এর আঞ্চলিক ম্যানেজার অজয় কুমার, ভারত সরকারের এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল ফর হ্যান্ডিক্যাপস’এর পূর্বাঞ্চলীয় কনভেনার ওপি প্রহ্লাদ, ভারতের ন্যাশনাল জুট বোর্ড’এর কমিশনার মলয় চন্দন চক্রবর্তী প্রমুখ।

কলকাতাকে ব্যবসা ও বাণিজ্যের পছন্দের গন্তব্য ও যাব হিসাবে তুলে ধারায় এই মেগা ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। এবারের এই মেলায় অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার, ভুটান, চিন, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলংকা, নেপালসহ ১৬টির বেশি দেশ। এছাড়াও রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, অরুণাচল প্রদেশ, কেরালাসহ ভারতের প্রায় সব অঙ্গরাজ্যই।
এবারের মেলার পার্টনার কান্ট্রি হয়েছে ‘থাইল্যান্ড ও আফগানিস্তান’। ফোকাস কান্ট্রি ‘ইরান ও বাংলাদেশ’। স্বাভাবিকভাবেই মেলায় উপস্থিত থাকবেন ওই সমস্ত দেশের শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

গত বছর এই বাণিজ্য মেলায় স্টলের সংখ্যা প্রায় ৫০০ টি, এবং করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনেও প্রতিদিন ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষ এই মেলায় পা রেখেছিল। চলতি বছর প্রায় ৬০০ স্টল করা হয়েছে। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল ছাড়াও থাকছে পোশাক, আসবাবপত্র ইন্টেরিয়ার, ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স, হেলথ কেয়ার, কসমেটিক্স, লাইফ স্টাইল, হান্ডিক্রাফটের আইটেম। সাবেক ভাবেই চলতি বছরে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই মেলায় যোগদান করবে বলে আশা করছেন মেলা কর্তৃপক্ষ।

দুই দশক সব আগে মেলা যখন শুরু হয়, সে সময় মেলায় আগত বিদেশী প্রতিনিধিদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা কিন্তু সেই সংখ্যা এখন পৌঁছেছে এক হাজারের বেশি।

বিসিসিআই সভাপতি সুবীর চক্রবর্তী জানান, করোনা অতিমারির পরে, এই ধরনের বাণিজ্য মেলা বা বিশাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্প জগতের কাছে তাদের পণ্যগুলিকে প্রদর্শন করাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই মেলায় শিল্প উদ্যোক্তা, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা, কর্পোরেট সংস্থার নীতি নির্ধারকরা, প্রস্তুতকারী সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং অবশ্যই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক উপস্থিত থাকবেন। সেক্ষেত্রে একই জায়গায় বিভিন্ন শিল্প সংস্থার অংশগ্রহণের ফলে সকলের জন্যই বিশাল ব্যবসার সুযোগ থাকবে।

সুবীর চক্রবর্তী আরো বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমি আইআইএমটিএফ’কে বেড়ে উঠতে দেখেছি, আমাদের ২১ তম সংস্করণে আমি প্রত্যেককে তাদের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই অনুগ্রহ করে আসুন-দেখুন-বাণিজ্য করুন এবং এটিকে সফল করুন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *