কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি আসছে ২৯ জানুয়ারি

bbনিজস্ব প্রতিবেদক :

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯  জানুয়ারি। নতুন এ নীতি তৈরির কাজ জোরেশোরে চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকে আসা পরামর্শের আলোকে জানুয়ারি-জুন সময়ের নতুন মুদ্রানীতি তৈরি করা হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ওই সময় আগামী জুন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। তবে নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে প্রকৃত ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষেও ১৫ শতাংশের আশপাশে থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে প্রতি ছয় মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে সামনে রেখে এ নীতিতে বিভিন্ন সূচকের প্রাক্কলন করা হয়।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এদিকে আশানুরূপ ঋণ চাহিদা না থাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুদহার ধারাবাহিকভাবে কমছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদহার বাজারভিত্তিক করতে গত বছরের জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসিস পয়েন্ট ৫০ কমিয়ে রেপোতে ৬ দশমিক ৭৫ এবং রিভার্স রেপোতে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

দেশের ইতিহাসে এখন সুদহার কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। গত নভেম্বরে প্রথমবারের মতো সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামে। সর্বশেষ হিসেবে গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আমানতের গড় সুদহার নেমে এসেছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশে। তারপরও ব্যাংকগুলোর কাছে এখন প্রচুর অলস অর্থ পড়ে আছে। মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকার প্রচুর অর্থ পাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে কম, উল্টো পরিশোধ করছে বেশি। গত ছয় মাসে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ ১১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা কমে ডিসেম্বর শেষে নেমে এসেছে ৯৭ হাজার ৫১৮ কোটি টাকায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *