সাম্প্রতিক ধসে কারসাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চারটি ব্রোকারেজ হাউজ, সংবাদকর্মী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক ও বর্তমান সদস্যকে তদন্তের আওতায় এনেছে চীনের পুলিশ। এদিকে সুদের হার কমার পরও সেখানকার শেয়ারবাজারে পতন থামেনি। দুদিনে প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যাওয়ার পর গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় দিনেও দরপতনে ছিল সাংহাই-শেনঝেনের শেয়ারবাজার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চারটি ব্রোকারেজ হাউজের বাইরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সদস্য, ব্রোকারেজ হাউজের কয়েকজন কর্মী ও আর্থিক বাজারসংশ্লিষ্ট এক সংবাদকর্মীকেও তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ব্রোকারেজ সেবাদাতা হাইতং, জিএফ, হুয়াথাই ও ফাউন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রাহক শনাক্তকরণে তারা ব্যর্থ হয়েছে, যা বাজারের অস্থিতিশীলতায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। অন্যদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা চায়না সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশনের একজন বর্তমান ও একজন সাবেক সদস্যের বিরুদ্ধে ইনসাইডার ট্রেডিং ও দাফতরিক নথিপত্রে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিজনেস সাময়িকী সেইচিংয়ের সংবাদকর্মী ওয়াং শিয়াওলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।
এর বাইরে আইনবহির্ভূত লেনদেনে জড়িত সন্দেহে চীনের সবচেয়ে বড় ব্রোকারেজ হাউজ সিটিক সিকিউরিটিজের আট কর্মীকেও তদন্তের অধীনে এনেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জকে গতকাল সিটিক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো তদন্তের খবর জানে না।
সূত্র : বিবিসি ও ব্লুমবার্গ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/