চেয়ারম্যানের পুনর্নিয়োগ, পদত্যাগ করলেন পর্যবেক্ষক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকে নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক লীলা রশিদ পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেন, পরদিনই গভর্নর ফজলে কবির তা অনুমোদন করেন। আর গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটিতে নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও পর্যবেক্ষক লীলা রশিদকে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় না। কথা বলার সময় তাঁকে আটকে দেওয়া হয় এবং তাঁর সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয়। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জায়েদ বখতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ ব্যাংকও তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর মধ্যে গত সোমবার অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আবার জায়েদ বখতকে নিয়োগ চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাঁকে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে ব্যাংকটির এমডি বরাবর এই চিঠি দেয়। জায়েদ বখত ২০১৪ সাল থেকে তিন বছর করে দুই দফায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এবারেরটিসহ তিনি ৩ দফায় ৯ বছরের জন্য চেয়ারম্যান হলেন। রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে টানা ৯ বছর দায়িত্ব পালন দেশের ব্যাংক ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ও পুনর্নিয়োগ পাওয়ার পরদিনই পদত্যাগ করেন লীলা রশিদ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ও চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় দায়িত্ব পালনে আগ্রহী না বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন।

লীলা রশিদকে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেননি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ব্যাংকও তদন্ত করে এর সত্যতা পায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, অগ্রণী ব্যাংকে নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পর্যবেক্ষকেরা পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি ও নিরীক্ষা কমিটির সভায় উপস্থিত থাকেন। একইভাবে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে অনেক সময় ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে পর্যবেক্ষকেরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে ব্যাংকগুলোরও আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *