টেলিকম ও কম্পিউটার সেবা খাতে রপ্তানি দেশের আয় বেড়েছে

yyyস্টকমার্কেট প্রতিনিধি :

পণ্যের পাশাপাশি সেবা রপ্তানিতেও কদর বাড়ছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন ধরনের সেবা রপ্তানি হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। এখন প্রায় প্রতি মাসেই রপ্তানি খাতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নুতন সেবা। শুরুতে নামমাত্র আয় হলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দুই মাস জুলাই-আগস্টে রপ্তানি বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বিভিন্ন ধরনের সেবা রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে রপ্তানি বেশি হয়েছে ৬ শতাংশেরও বেশি। আয় এসেছে ৬২ কোটি ডলার। একক মাস হিসেবে গত আগস্টে সেবা রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে এ সময়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেবা রপ্তানিসংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। পণ্যের মতো সেবা রপ্তানির পরিসংখ্যানও এখন থেকে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে বলে ইপিবি সূত্রে জানা গেছে।

রপ্তানিতে সেবা বলতে বোঝায়, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন যেমন, নৌ-রেল-সড়ক-বিমান পরিবহন, পর্যটন, ব্যাংক-বীমা, টেলিযোগাযোগ এ তালিকায় নির্মাণ, কম্পিউটার ও তথ্য সেবা, মেধা সেবা ইত্যাদি। এসব সেবার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু পণ্যকেও সেবার আওতায় বিবেচনা করা হয়। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) সেবা রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩১৬ কোটি ডলারেরও বেশি।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী আলোচ্য দুই মাসে সবচেয়ে বেশি ১৯ কোটি ডলার সেবা রপ্তানি হয়েছে সেবা সম্পর্কিত পণ্য থেকে। আগের একই সময় থেকে এই আয় ১ শতাংশ বেশি। যদিও এ খাতের এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। টেলিযোগাযোগ সেবা থেকে সাড়ে ৬ কোটি এবং কম্পিউটার সেবা থেকে ৩ কোটি ডলার রপ্তানি আয় এসেছে। এ ছাড়া বড় আয়ের সেবা খাত হিসেবে পরিবহন সেবার মধ্যে নৌ ও বিমান পরিবহন থেকে প্রায় সমপরিমাণ ৩ কোটি ডলার রপ্তানি আয় এসেছে। পর্যটন, আর্থিক সেবা ও বীমা খাতেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বড় ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে।

ইপিবিসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেবা রপ্তানি খুব সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। যেমন, দেশের চিকিৎসাসেবা উন্নত হলে এ দেশে সেবা নিতে আসত বিদেশিরা। এখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সেবা রপ্তানিতে খুব বেশি কিছু করার নেই। ব্যবসায়িক স্বার্থে বেসরকারি খাতকেই এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *