ডিএসইতে তালিকাভুক্ত আমান ফিড

aman-addস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে আমান ফিড লিমিটেড। মঙ্গলবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ আমান ফিডকে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর আগে গত ৬ আগস্ট সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির তালিকাভুক্তিতে সম্মতি দেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা জানিয়েছেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বরাদ্দ হওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হলেই সেকেন্ডারি বাজারে আমান ফিডের শেয়ার কেনাবেচা শুরু হবে। ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্তির অনুমতি পেয়েছে কোম্পানিটি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ জুন আইপিওর লটারির ড্র সম্পন্ন করে আমান ফিড। কোম্পানির আইপিওতে মোট ৯১০ কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকার আবেদন জমা পড়েছিল, যা মোট চাহিদার তুলনায় ১২ দশমিক ৬৪ গুণ বেশি।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২৬ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার ৩৬ টাকায় ইস্যুর অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৭২ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে গবাদিপশু, মাছ ও হাঁস-মুরগির খাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি। এ অর্থ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন জোগানো ও আইপিওর খরচ খাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছে।

২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির আইপিও-পূর্ববর্তী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন শেষে এ সময় শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩০ টাকা ৭৭ পয়সা, পুনর্মূল্যায়ন বিবেচনায় না নিলে যা ছিল ২৮ টাকা ৯১ পয়সা। আইপিওর পর কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়াচ্ছে ৮০ কোটি টাকা, আইপিওর আগে যা ছিল ৬০ কোটি টাকা।

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আমান ফিড বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে ২০০৬ সালে। আমান ফিডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। নিরীক্ষক আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/মিশুক/এফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *