যুক্তরাজ্যের গণভোট বেক্সিটের পক্ষে যাওয়ায় চাপে পড়েছিল বৈশ্বিক শেয়ারবাজার। নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে ইতিবাচক কিছুর প্রত্যাশায় দরপতনের ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুতই সামলে উঠেছে পূর্ব-পশ্চিমের প্রায় সব স্টক এক্সচেঞ্জ। ব্রেক্সিট-পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে বিশ্বের সব প্রান্তেই শেয়ারসূচক বেড়েছে। খবর রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ।
২৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের গণভোটের ফলাফল প্রকাশের পর একদিনে ৪-৭ শতাংশ হারে কমে যায় এশিয়া-ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব শেয়ারসূচক। সংশ্লিষ্ট খাত ও কোম্পানির আয়ে ব্রেক্সিটের প্রভাব কি হবে— বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোয় তার চুলচেরা বিশ্লেষণ অব্যাহত আছে। তবে মোটা দাগে বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর পদক্ষেপ অন্যতম।
বাজার-সংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ, অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে চলতি বছর আর সুদের হার বাড়াবে না মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। অনেকের পূর্বাভাস, ২০১৭ সালেও মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না ওয়াল স্ট্রিটকে। ইউরোপের দেশগুলোর পাশাপাশি চীন, জাপান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া সবখানেই ব্রেক্সিটের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা।
শুক্রবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকই ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ইউরোপের সমন্বিত শেয়ারসূচক স্টক্স ইউরোপ ৬০০ আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এশিয়ার সমন্বিত সূচক এশিয়া ডাও বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
এদিকে যুক্তরাজ্যের মূল সূচক এফটিএসই ১০০ এক সপ্তাহে বেড়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। দ্বিধা কাটছে না সাধারণ বিনিয়োগকারীদের— বেক্সিট কি তবে ভালো কিছুই হতে যাচ্ছে?
এর উত্তরে সতর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিটের প্রভাব গণনার শুরু মাত্র। হতে পারে, গত সপ্তাহের চাঙ্গাভাবটি তহবিল ব্যবস্থাপকদের সুনির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগের ফল। বেছে বেছে অবমূল্যায়িত ও সম্ভাবনাময় কোম্পানির শেয়ারে বাড়তি তহবিল বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন বিচক্ষণ পেশাদাররা, যার আপাত প্রভাব দেখা যাচ্ছে সূচকে। এ চাঙ্গাভাব অব্যাহত নাও থাকতে পারে। বিশেষ করে, যদি বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে নিরাশার বার্তা আসতেই থাকে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এ