বেশি দামে সার বিক্রি করলেই শাস্তি: কৃষিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গুজব ছড়িয়ে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যেসব ডিলার, ব্যবসায়ী, দোকানদার বেশি দামে সার বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত ৩০ দিন অব্যাহতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজন হলে পুরো বোরো মৌসুমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশে ডিসেম্বর মাসে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৩ লাখ ১ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন, বিপরীতে বর্তমানে মজুত রয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের চেয়ে ৫ লাখ টনেরও বেশি। অন্যান্য সার যেমন টিএসপির ডিসেম্বর মাসে চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ১ লাখ ৯২ হাজার টন, ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১২ টন, বিপরীতে মজুত ৫ লাখ ৯৬ হাজার টন এবং এমওপির চাহিদা ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ টন, বিপরীতে মজুত রয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার টন। এছাড়া, বিগত বছরের (২০২০ সালের ডিসেম্বর) একই সময়ের তুলনায় সব রকমের সারের বর্তমান মজুত বেশি।

তিনি বলেন, সামনে বোরো মৌসুম, এ সময়ে সারের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব রকমের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বর্তমানে সারের যে মজুত রয়েছে এবং পাইপলাইনে যে সার রয়েছে, সব মিলিয়ে সারের কোন রকম সংকট হবে না, পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সারের মূল্য টনপ্রতি ৩০০ ডলার ছিল, তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৯৬৪ ডলার। আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে আমাদের মতো দেশগুলোকে শোষণ করছে। আর এদিকে দেশে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে কোথাও কোথাও এলাকাভেদে বিচ্ছিন্নভাবে সারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা কঠোরভাবে এটি মনিটর করছি, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, সারের উৎপাদন, আমদানি ও মজুতে কোন সমস্যা নেই, সারের কোনো ঘাটতি নেই। কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে গুজব ও অপপ্রচার ছড়িয়ে সারের দাম বৃদ্ধি করে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিকভাবেও বিরোধীরা সুযোগ নিতে পারে। সেজন্য আমরা সার পরিস্থিত নিয়ে খুব সতর্ক রয়েছি।

এ সময় গুজবরোধে সাংবাদিকবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন শিল্পমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরুল আশরাফ খান বলেন, গত কয়েকদিন সার পরিবহণে কিছু সমস্যা ছিল, তা কেটে গেছে। কোন ডিলার সারের দাম বেশি নিলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে। সূত্র : সমকাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *