মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন ফেনীর গৃহিণী ঝর্না

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। আছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।

এরই অংশ হিসেবে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার গৃহিণী ঝর্না বেগম। ঈদের আগে মাত্র একটি ফ্রিজ কিনে এতো বিশাল অঙ্কের টাকা পেয়ে তার পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।

শনিবার (৩০ মার্চ, ২০২৪) সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট এলাকায় শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহিনী ঝর্নার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং মামনুন হাসান ইমন।

দাগনভূঁঞা উপজেলার প্রতাপপুরে বসবাস ঝর্নার। ১ ছেলে এবং ১ মেয়ের মা তিনি। মার্সেলের ফ্রিজ দেখতে দেখতে সুন্দর। দামও সাধ্যের মধ্যে। শুনেছেন টেকসই এবং বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। তাই গত ২৫ মার্চ সেবারহাটে জয়নাল কোম্পানি মার্কেটে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ঢাকা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ২৯০ টাকার ২১৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে মার্সেল থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ আসে।

১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণকালে ঝর্না বেগম বলেন, ‘একটি ফ্রিজ কিনে এতো টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায় কল্পনাই করিনি কখনো। প্রথম ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ দেখে বিশ্বাস হয়নি। মার্সেল হেড অফিস থেকে ফোন করে জানানোর পর বিশ্বাস হয়। মার্সেল আরও জনপ্রিয় হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।’

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশের সহজ সরল মানুষ বিদেশি পণ্য ভেবে নন-ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট কিনে প্রতারিত হন। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, আবার দেশের টাকা বিদেশে চলে যায়। দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই সবার উচিত দেশের পণ্য কেনা। এতে সমৃদ্ধশালী হবে দেশ ও আমাদের অর্থনীতি।’

মার্সেলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন জানিয়ে চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘ক্রেতাদের আস্থায় দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে মার্সেল। আমাদেরই ভাই, বোন, সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজন কাজ করছেন এই দেশি প্রতিষ্ঠানে। এভাবেই দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছে মার্সেল।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগ্যান, সেবারহাট বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, মোহাম্মদপুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরি ও মো. মাসুদ, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেলের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নুরুল ইসলাম রুবেল, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মিজানুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার এএনএম মহিব্বুল্লাহ এবং ঢাকা ইলেকট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাজীব চন্দ্র দাস প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *