ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হস্তান্তরের সুযোগ রেখে এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীতে সায় দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে আবেদন করতে পারবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত।
এতদিন ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন হস্তান্তর করা যেত না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন সংশোধন হয়ে গেলে এসব এজেন্সি হস্তান্তর করা যাবে, মালিকানা হস্তান্তরের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, মামলা নিষ্পত্তিতে সিআরপিসি প্রযোজ্য হবে।
“অনেক ট্রাভেল এজেন্সি রিক্রুটিং এজেন্সি হিসেবে কাজ করে, এখন আর এটা করা যাবে না। এটা করলে জরিমানা করা হবে। কারণ রিক্রুটিং এজেন্সির রেজিস্ট্রেশন আলাদা। ট্রাভেল এজেন্সি অন্য কাজ করলেও এত দিন এদের লিগ্যালি ধরা যেত না।”
আইন সংশোধনের পর ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খুলতে পারবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ট্রাভেল এজেন্সি কী করবে তা আইন সুস্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ট্রাভেল এজেন্সি মানুষের সাথে প্রতারণা করত। কোনো ট্রাভেল এজেন্সি ভিসা নিয়ে কাজ করতে চাইলে তাকে আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/