বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে পণ্য ও সেবায় বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারে নতুন পণ্য হিসেবে ডেরিভেটিভস মার্কেটের আওতায় ফরেক্স বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। দেশে বৈদেশিক বিনিময় হারের ঝুঁকি কমাতে ‘কারেন্সি ডেরিভেটিভস’ চালু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এ মার্কেটপ্লেস চালু হলে শেয়ারবাজারের আকার অনেক বাড়বে এবং সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে। একই সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেরিভেটিভস মার্কেট প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে দেশের সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিএসইতে ফরেক্স ট্রেডিং চালুর ক্ষেত্রে সার্বিক সহাযোগিতা করছে তাদেরই স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড। তারা এ বিষয়ে সিএসইকে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। তবে, এ প্ল্যাটফর্ম চালু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা পেলে দেশে দ্রুত ফরেক্স মার্কেট চালু করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ও বিনিময় হার নির্ধারণের বাজারকে ফরেক্স বোঝায়। যেখানে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ক্রয়, বিক্রয় এবং বিনিময় করতে পারে। দেশে ডেরিভেটভস মার্কেটের অংশ হিসেবে কারেন্সি ডেরিভেটিভসের আওতায় এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করতে চায় সিএসই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং নিষিদ্ধ। এ প্ল্যাটফর্ম চালু করা হলে যারা বিভিন্ন পন্থায় বৈদেশি মুদ্রা নিয়ে ব্যবসা করেন, তারা বিশাল সুবিধা পাবেন। এছাড়া, বর্তমানে যারা অবৈধভাবে বা অনুমতি ব্যতিত ফরেক্স ট্রেডিং করছেন, তারা প্ল্যাটফর্মটিতে লেনদেন করার বৈধতা পাবেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম///