শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর কমানোর প্রস্তাব দিল ডিসিসিআই

nrbনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিপরীতে লভ্যাংশ আয়ের ওপর আয়কর হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। লভ্যাংশ আয়ে বর্তমান ২০ শতাংশ করের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাবের পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার পুনর্নির্ধারণেরও প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায় সংগঠনটি।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় মোট ৪৯টি প্রস্তাব দেয় ডিসিসিআই। এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ডিসিসিআইয়ের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম খান। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিসিসিআই নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আবুল কাসেম খান বলেন, শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের ওপর কোম্পানিকে ২০ শতাংশ ও ব্যক্তিকরদাতাকে ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। নিট মুনাফার ওপর করপোরেট কর প্রদানের পর লভ্যাংশ আয়ের ওপর আবারো ২০ শতাংশ হারে কর প্রদানের ফলে কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে লভ্যাংশ আয়ে ৩০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ প্রদান করায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও আয়ের-ব্যয়ের সমন্বয়ে জীবনযাপনে ব্যক্তিশ্রেণীর করহারের সর্বোচ্চ সীমা কমানো দরকার। এক্ষেত্রে কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ে করহার ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ও ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর ৩০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবও দেন ডিসিসিআই সভাপতি।

কোম্পানির করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব করে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায় টিকতে কোম্পানির করপোরেট করহার কমিয়ে আনা দরকার। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমান কর ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার। এর বাইরে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ ও ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষেত্রে তা ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাবও দেন আবুল কাসেম খান।

৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে আয়কর রেয়াতের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারসহ ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে করদাতার বিনিয়োগজনিত আয়ে কর রেয়াত সুবিধা বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে একজন করদাতাকে আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগে ১৫ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। এটি হলে দেশে বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি নিম্নহারের কারণে করদাতার সংখ্যাও বাড়বে বলেও মনে করছে সংগঠনটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *