সামিটের আজিজ খান সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ধনী

oooo000স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের। তিনি সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান। সিঙ্গাপুরে তার সম্পদের পরিমাণ ৯১০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। তিনি বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসা এবং তার অন্যান্য ব্যবসার উৎস থেকে এই সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিশ্বের অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী ‘ফোর্বস’ তৈরি করা জুলাই ২০১৮-এর তালিকায় আজিজ খানের নাম এসেছে ৩৪ নম্বরে।

এই তালিকায় প্রথম ধনী হচ্ছেন চীনা বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক রবার্ট অ্যান্ড ফিলিপ এনজি। তিনি একজন আবাসন (রিয়েল স্টেট) ব্যবসায়ী। তার সম্পদের পরিমাণ ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের বন্ধু এডুয়ার্ডো সাভেরিন।

তিনি ব্রাজিলের নাগরিক, সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। তার সম্পদের পরিমাণ ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তিনি ফেসবুক এবং নিজস্ব সোর্স থেকে এই সম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০০৪ সালে হার্ভার্ডে পড়ার সময় মার্ক জুকারবার্গের বন্ধু ছিলেন। অন্যদিকে এই তালিকায় ১৩ নম্বরে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরবিন্দ টিকু। তার সম্পদের পরিমাণ দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার। আর আজিজ খানের নিচে ৪০ নম্বরে রয়েছেন আরেক ভারতীয় সৌরভ মিত্তাল। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ৬৩ বছর বয়সী আজিজ খান গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস, কমিউনিকেশনস, হসপিটালিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, আবাসন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে সামিট গ্রুপের। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বাংলাদেশে সামিট সবচেয়ে বেশি আলোচিত। যদিও বর্তমানে তারা ১৯১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সামিট পাওয়ার দুই বছর আগে সিঙ্গাপুরে তাদের হেডকোয়ার্টার খোলে।

সামিট গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জে (এসজিএক্স) তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এশিয়ায় বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের জন্য এসজিএক্স থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় আজিজ খানের কোম্পানি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আজিজ খান রয়টার্সকে বলেছিলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অনেক ছোট, আর আমাদের বিনিয়োগের জন্য আরও অনেক বেশি অর্থ প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য এটি একটি ভালো জায়গা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *