কেডিএস এক্সেসরিজের লটারির ড্র আজ

kds-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

কেডিএস এক্সেসরিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে সংগ্রহনকারী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বণ্টনের উদ্দেশ্যে লটারির ড্র আজ ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

অনুষ্ঠানটি সকাল ১০ টায় নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবের ব্যানকোয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, কেডিএস এক্সেসরিজের আইপিওতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা ৯ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০ কার্যদিবস আবেদন করেন। আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্যও একই সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।

শেয়ারবাজারে ১ কোটি ২০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কেডিএস এক্সেসরিজ। এ জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ২০ টাকা মূল্যে শেয়ার ইস্যু করছে কোম্পানিটি। ২৫০টি শেয়ারে মার্কেট লট নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে উত্তোলিত টাকায় কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।

এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৪৫তম সাধারণ সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বিএ/এইচ/

র‍্যাংগস গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ তিনজনের জামিন

tribunal-picনিজস্ব প্রতিবেদক :

গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান র‍্যাংগস গ্রুপের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরীসহ তিনজন। অপর দুজন হলেন মসিউর রহমান ও অনু জায়গিরদার।

’৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজসহ প্রতিষ্ঠানটির চার মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তারা ছিলেন আসামি।

গতকাল মঙ্গলবার শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে তারা এ জামিন নেন। এ মামলার অপর আসামি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের আরেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এইচআরসি গ্রুপ ও বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী এখনো আদালতে হাজির হননি। তার বিরুদ্ধেও আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

মামলা দায়েরকালে আসামিদের মধ্যে রউফ চৌধুরী ছিলেন প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মসিউর রহমান। এইচআরসির সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গিরদার ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

যে মামলায় রউফ চৌধুরীসহ তিনজন গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন, আগামী রবিবার ওই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। রায় ঘোষণার আগেই অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হন। আদালতে হাজির হয়ে জামিনের পাশাপাশি পুনরায় মামলাটির সাক্ষ্য ও জেরা শুরুর আবেদন করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবির আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার পর্যন্ত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে রায়ের অপেক্ষায় থাকা মামলাটির পুনরায় শুনানি শুরু হবে কি না, সে বিষয়ে রোববার আদালত আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন আসামিদের আইনজীবী মহসিন রশিদ। আসামিদের পক্ষে এদিন প্রধান আইনজীবী ছিলেন রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীসহ একাধিক সূত্র জানায়, ’৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ১৫টি মামলার মধ্যে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলাটিসহ তিনটি মামলা ট্রাইব্যুনালের বিচারের জন্য আসে। গত জুনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। আর ৫ জুলাই প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলাটি আমলে নেয় এবং চার্জ গঠন হয় ৯ জুলাই। ২৬ জুলাই থেকে এটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু আসামিরা হাজির না হওয়ায় আদালত এ মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ’৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে আসামিরা সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। যেসব লেনদেনের বড় অংশই ছিল প্রতারণামূলক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বিএ/এইচ/