সূচকের উত্থান হলেও কমেছে লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। তবে এদিন দিনশেষে সেখানে সূচক বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন কমলেও সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২.০১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫০০৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৯.৪৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৮২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭১২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৭৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৫১টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫১টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, নিটল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১১২.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ১০৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১০ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই

bifcস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দর বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়।

এর জবাবে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বিট কয়েনের দর পতন

BIT COINস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ও স্বর্ণের দরপতন হলেও বিট কয়েন বা অনলাইন মানির বাজার ভালোই চলছিল। এবার সেই লড়াইয়ে কিছুটা ছন্দপতন দেখা দিল। ডিজিটাল মুদ্রা বিট কয়েন এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে বিট কয়েনের দাম ২০ হাজার ডলারে উঠা-নামা করছিল। কিন্তু রেকর্ড পতনে শুক্রবার মুদ্রাটির দাম ১১ হাজার ডলারের নিচে নেমে আসে।
এ বছরের শুরুর দিকে মুদ্রাটির দাম ছিল এক হাজার ডলারের মতো। তারপর থেকে এর মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। জুনে এক লাফে এর দাম দশ হাজার ডলার বৃদ্ধি পায়। নভেম্বর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত এর দাম বাড়ছিল রকেট গতিতে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ক্রিপ্টোকমপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চার্লস হাটার বলেছেন, নজিরবিহীন উত্থানের পর দাম এখন কিছুটা কমবে; কারণ আবেগের পরিবর্তন ঘটেছে। চড়া দাম হওয়ায় বাজারে অনেকেই বিটকয়েন বিক্রি করে দিয়ে অর্থ তুলে নিচ্ছে। ফলে এখন তার দাম পড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

২ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকা

nrbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত অর্থবছরের পর চলতি অর্থবছরেও রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দুই মাসেই (জুলাই-অগাস্ট) এই ঘাটতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রোববার রাজস্ব আদায়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) সবমিলিয়ে ৩০ হাজার ১৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।

এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৪০ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে ঘাটতি হয়েছে ১০ হাজার ৭৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

শতাংশ হিসাবে এই দুই মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যের চেয়ে ২৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম হয়েছে।

গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আদায় বেড়েছে মাত্র দশমিক শূন্য ১৬ শতাংশ।

অথচ গত অর্থবছরের এই দুই মাসে রাজস্ব আদায় তার আগের বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি হয়েছিল।

২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩০ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর, স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট এবং আয়কর-এই তিন খাত থেকে এনবিআর রাজস্ব আদায় করে থাকে। সূত্র :

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ট্রাম্প দুই বছরে আয়কর দিয়েছেন ৭৫০ ডলার করে

trumpস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

যে বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন সেই ২০১৬ সালে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের প্রথম বছর ২০১৭ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প মাত্র ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ট্রাম্প ও তার কোম্পানিগুলোর দুই দশকেরও বেশি সময়ের আয়করের রেকর্ড তাদের হাতে এসেছে।

ট্রাম্প গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর একেবারেই কোনো আয়কর দেননি। নিজের কোম্পানিগুলোর ক্রমাগত লোকসান দেখিয়ে বছরের পর বছর আয়কর এড়িয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প যথারীতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ প্রতিবেদনকেও ‘ভুয়া খবর’ আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রোববার নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আসলে আমি আয়কর দিই আর আমার আয়কর রিটার্ন- এখন তা অডিট করা হচ্ছে, সেগুলো দীর্ঘ দিন ধরেই অডিটের আওতায় রয়েছে- আসলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন।

“(অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা বা আইআরএস) আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না, তারা আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে। আইআরএসে আপনাদের লোক আছে- তারা আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে।”

অর্থবিত্ত ও ব্যবসা সংক্রান্ত নথি দেখাতে অস্বীকার করায় ট্রাম্প আগেও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৭০ এর দশকের পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি আয়কর রিটার্ন জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি, তবে এক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।

প্রতিবেদনে যেসব তথ্য এসেছে তা ‘ওইসব তথ্য দেখার বৈধ অনুমোদন আছে এমন সূত্রগুলো দিয়েছে’ বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।

টাইমস জানিয়েছে, তারা ১৯৯০ দশকে ফিরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের মালিকানাধীন তার কোম্পানিগুলোর আয়কর রিটার্নের পাশাপাশি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তার ব্যক্তিগত আয়কর রিটর্নগুলো পর্যালোচনা করেছে।

ট্রাম্প ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মাত্র ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছেনে আর গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর কোনো আয়কর দেননি বলে জানিয়েছে তারা।

এই সময়ে তিনি যা ‘আয় করেছেন তারচেয়ে অনেক বেশি অর্থ হারিয়েছেন’ বলে তার দেওয়া প্রতিবেদনের কারণে মূলত এমনটি করা গেছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই ট্রাম্প খ্যাতিমান ব্যবসায়ী ও আবাসন খাতের ‘মোগল’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

কিন্তু সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, তিনি আইআরএসের কাছে যে প্রতিবেদনগুলো জমা দিয়েছেন সেখানে তাকে ‘এমন একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যিনি বছরে শত শত কোটি ডলার আয় করেন তারপরও আয়কর এড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি দেখান’।

প্রকাশিত বিভিন্ন নথিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত করেছেন তিনি ২০১৮ সালে অন্তত ৪৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় করেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রেসিডেন্টের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী ওই বছর তার ৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনও সেগুলো অস্বীকার করেছে।

কোম্পানির প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যালান গার্টেন টাইমসকে বলেছেন, “তথ্যগুলোর অধিকাংশই, সব নাও হতে পারে, ভ্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। গত এক দশকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগত আয়কর হিসেবে ফেডারেল সরকারকে কোটি কোটি ডলার দিয়েছেন, এরমধ্যে ২০১৫ সালে প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকে দেওয়া কয়েক কোটি ডলারের ব্যক্তিগত আয়করও আছে।”

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কারখানা বন্ধ ঘোষণা : রিংসাইন নিয়ে কেবলই দুশ্চিন্তা

Ring-Shine-1স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিংসাইন টেক্সটাইলের শেয়ারে বিনিয়োগ করে আবারও অনিশ্চয়তায় পড়লেন বিনিয়োগকারীরা। করোনার কারণে কাঁচামাল ও রপ্তানি আদেশের সংকটে সাময়িকভাবে কোম্পানিটি লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারে যাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন, খবরটি তাঁদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। হঠাৎ করেই গতকাল রবিবার এই লে-অফ ঘোষণা দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

গত ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করেছিল। সেই অর্থে কোম্পানির জন্য যন্ত্রপাতিসহ নানা সামগ্রী অধিগ্রহণ ও ব্যাংকঋণ শোধ করার কথা। আর তাতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে আর বিনিয়োগকারীরা পাবেন মুনাফার ভাগ। কিন্তু সেই কোম্পানিই ভুগছে এখন আর্থিক সংকটে। আর শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একের পর এক দুঃসংবাদ দিয়েই চলেছে ।

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বা ডিইপিজেডে অবস্থিত রিংসাইন টেক্সটাইলের পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়, করোনায় বিশ্বজুড়ে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং কাঁচামাল সংকটের কারণে এক মাসের জন্য কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়। এ খবরে গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে নেমে এসেছে ৭ টাকা ১০ পয়সায়। এতে গতকাল ঢাকার বাজারে দরপতনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে ছিল এটি।

এর আগে গত জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই কোম্পানিটির বিদেশি মালিকেরা অনেকটা গোপনে দেশ ছেড়ে যান। পরে ইপিজেডের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) মধ্যস্থতায় দেশে ফেরত আনা হয় কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিকে। এ ঘটনার জেরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটির সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এতে ব্যাংক হিসাবে আটকে যায় কোম্পানিটির আইপিওর টাকার একটি বড় অংশ।

রিংসাইন টেক্সটাইলের কোম্পানি সচিব আশরাফ আলী বলেন, ‘আর্থিক ও রপ্তানি আদেশের সংকটের কারণে সাময়িকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ সংকট কাটিয়ে পুনরায় কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরে আসবে।’

বেপজা ও কোম্পানি–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি আদেশ ও পুঁজির সংকটে হিমশিম খাওয়া এ কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা কোম্পানিটি বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে দেনার ভারে জর্জরিত এ কোম্পানিটি কেনার মতো আগ্রহী কাউকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, ‘কোম্পানিটি বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিকভাবে দুর্বল। কোম্পানিটি নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ ঘোষণা করলে শ্রমিকের সব পাওনা পরিশোধ করার অবস্থাও নেই। তাই আমরা চাইছি, কোম্পানিটির কিছু অংশ বিক্রি করে হলেও সংকট কাটিয়ে উঠুক। শ্রমিকেরা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেই চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’
বিজ্ঞাপন

এদিকে কোম্পানিটি সর্বশেষ গত জানুয়ারি-মার্চ সময়কালের যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানু-মার্চ-২০২০) এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ১৯ পয়সা ঋণাত্মক। অথচ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চে ইপিএস ছিল ৩৩ পয়সা। তালিকাভুক্তির পর থেকেই কোম্পানিটির আর্থিক ভিত্তি দুর্বল হতে থাকে। এখন এসে আর্থিক সংকটে লে-অফ ঘোষণা করতে হয়েছে।

কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদনের আগেই এটির আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ডিএসইর পক্ষ থেকেও বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। তা সত্ত্বেও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন এটির আইপিও অনুমোদন করে। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স স্পট মার্কেটে যাচ্ছে কাল

rupaliস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল মঙ্গলবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে। কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ অক্টোবর।

রেকর্ড ডেটের কারণে ওইদিন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে

mercantile-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আজ ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটি দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে বিমাটি ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া। লভ্যাংশ কম দেওয়ায় বিমাটির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করেছে ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

ফারইষ্ট লাইফের বাৎসরিক বোর্ড সভা আহবান

farest lifeস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যূরেন্স লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ৪ অক্টোবর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর বিমাটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় বিমাটি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গত বছর বিমাটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

রূপালী ইন্স্যুরেন্সের অপ্রকাশিত কোনো তথ্য নেই

Rupali insস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান রূপালী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দর বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়।

এর জবাবে রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম