ব্লক মার্কেটে ২৩৪ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ২০৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

ব্রাক ব্যাংক ৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

রেনেটা ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এডিএন টেলিকম, ব্যাংক এশিয়া, বারাকা পাওয়ার, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, গ্রামীণফোন, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, লাফার্জহোলসিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এম.এল ডাইং, মুন্নু সিরামিক,নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট, ন্যাশনাল ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফনিক্স ফিন্যান্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রহিম টেক্সটইল, সাইফ পাওয়ারটেক, সী পার্ল বীচ, সীমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, এসএস স্টিল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার ও উত্তরা ফিন্যান্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে বেক্সিমকো ফার্মা শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার।

লেনদেনের তালিকার কোম্পানিগুলো হচ্ছে- লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ ৪০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ৩৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ৩৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার,ওরিয়ন ফার্মা ৩২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, ফরচুন সুজ ২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ২১ কোটি ১ লাখ টাকার ও রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড লেনদেন হয় ২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ১ম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠানরিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ৩০ ডিসেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৫টা ৩০ মিনিট রাজধানীতে অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. আইএফআইসি ব্যাংক
  3. বেক্সিমকো ফার্মা
  4. লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ
  5. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল
  6. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  7. ওরিয়ন ফার্মা
  8. ফরচুন সুজ
  9. বিডি ফাইন্যান্স
  10. রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন ১৪’শ কোটি টাকা ছাড়ালো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক দুটােই বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়

বৃহস্পতিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৫.০৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫২১৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৭.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪০.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮৭৬ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ১২৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৬০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২০৮টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৭৪টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৭৮টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, ওরিয়ন ফার্মা, ফরচুন সুজ, বিডি ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ও রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ২৪৪.৭২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৯৮৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ৫৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি ও বেক্সিমকো লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৪ কোম্পানির ঋণমান প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন খাতের ৪ কোম্পানির ঋণমান প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানিগুলো হলো : এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফর্মুলেশনস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও এ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

এসিআই লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদী ঋণমান এসেছে “এএ-” । একই সময় কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ঋণমান এসেছে এসটি-২। সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২০ সালের ৩ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরআইএসএল।

এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদী ঋণমান এসেছে “এ +”। একই সময় কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ঋণমান এসেছে এসটি-৩। সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২০ সালের ৩ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরআইএসএল।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদী ঋণমান এসেছে “এএএ”। একই সময় কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ঋণমান এসেছে এসটি-১। সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২০ সালের ৩ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরআইএসএল।

এ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদী ঋণমান এসেছে “এ”। একই সময় কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ঋণমান এসেছে এসটি-২। সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২০ সালের ৩১ মার্চ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে এসিআরএসএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

আমান ফীড এজিএমের ভেন্যু নির্ধারণ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফীড লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ভেন্যু নির্ধারণ করেছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ১৫তম এই এজিএম আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমটি অনলাইনে এই লিংকে https://amanfeed.bdvirtualagm.com দেখতে পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা।

এছাড়া এজিএমের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

গত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নদদ ও শতাংশ ২.৫ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় পরিচালক হলেন মো: সিদ্দিকুর রহমান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

ডিএসইতে আজ সকাল ১০টা থেকে ৩টা পযর্ন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও নিবার্চন হচ্ছেনা। নিবার্চনে একটি মাত্র পদ ছিল। নতুন পরিচালক হিসেবে মো: সিদ্দিকুর রহমান বিনাপ্রতিদ্ধীতায় নির্বাচিত হন।

আজ ২৪ ডিসেম্বর ডিএসইতে ই-ভোটিং হওয়ার কথা ছিল। ডিএসইর পরিচালক নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুস সামাদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ডিএসইতে পরিচালক পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আগামী ৩ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। তবে মো: সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া আর কেই মনোনয়ন দাখিল করেন না।

বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে ডিএসই।

মোঃ সিদ্দিকুর রহমান একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি এবং স্টার্লিং স্টক এন্ড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের সময় ৩০ দফা বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি পিপলস লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার সময় আবারও বেড়েছে। কোম্পানিটিকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৩০ দফায় আরও ১৫ দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের ঘোষণা করে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৯৩২তম বোর্ড সভায় সেই স্থগিতাদেশই বর্ধিত করে গত ১৩ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট করা হয়।

এরপর আবারো দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর, পঞ্চম দফায় ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ৬ষ্ঠ দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ১১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর অষ্টম দফায় ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, নবম দফায় ১১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর, দশম দফায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি, ১১ দফায় ১২ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি, ১২ দফায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৩ দফায় ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ, ১৫ দফায় ১৩ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ, ১৬ দফায় ৩১ মে থেকে ১৪ জুন, ১৭ দফায় ১৫ জুন থেকে ২৯ জুন ১৮ দফায় ৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই, ১৯ দফায় ১৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই, ২০ দফায় ৩০ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট, ২১ দফায় ১৪ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট এবং ২২ দফায় ২৯ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, ২৩ দফায় ১৩ সেপ্টেম্বর হতে ২৭ সেপ্টেম্বর আর ২৪ দফায় ২৮ সেপ্টেম্বর হতে ১২ অক্টোবর আর ২৫ দফার ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ২৬ দফায় ২৮ অক্টোবর হতে ১২ নভেম্বর, ২৭ দফায় ১৪ নভেম্বর হতে ২৬ নভেম্বর, ২৮ দফায় ২৭ নভেম্বর হতে ১১ ডিসেম্বর, ২৯ দফায় ১১ ডিসেম্বর হতে ২৬ ডিসেম্বর আর ৩০ দফায় ২৭ ডিসেম্বর ১৫ দিন পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইসলামি বন্ড, সাধারণ বন্ডের সাথে কী পার্থক্য?

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

বাংলাদেশের সরকার প্রথমবারের মত ইসলামি বন্ড চালু করতে যাচ্ছে। ইসলামিক বন্ড বা সুকুক নামে এই বন্ড চালু করবে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম দফায় আট হাজার কোটি টাকার এই ইসলামি বন্ড ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চালু করতে চায় সরকার।

সেজন্য ২২শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
ইসলামি বন্ড বা সুকুক কী?

বাংলাদেশে সরকারি বন্ড দুই ধরণের হয়— ট্রেজারি বিল এবং ট্রেজারি বন্ড।

ট্রেজারি বিল হয় স্বল্প মেয়াদী, আর ট্রেজারি বন্ড হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী, যেমন দুই থেকে দশ বছর। বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ে সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন সরকারি বন্ড, সঞ্চয়পত্র এবং প্রাইজবন্ড প্রচলিত ও জনপ্রিয়। বন্ডের মধ্যে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড চালু রয়েছে। এখন সাধারণভাবে বলা যায় ইসলামি বন্ড বা সুকুকও এক ধরণের সরকারি বন্ড।

প্রচলিত ট্রেজারি বন্ড সরকার ইস্যু করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে এর কেনা-বেচা ও সুদের হার নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত যেকোন প্রতিষ্ঠান এর নিলামে অংশ নিতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার রূপ রতন পাইন বলেছেন, অন্য ট্রেজারি বন্ডের মত একইভাবে ইসলামি বন্ড বা সুকুকও সরকার ইস্যু করবে।

কিভাবে এলো ইসলামি বন্ড?

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দেশের মোট সঞ্চয় ও বিনিয়োগকারীদের ২৮ শতাংশ ইসলামি ধারায় বিনিয়োগ করতে চান।

এর মানে হচ্ছে, তারা প্রচলিত ব্যবস্থার মত সুদ গ্রহণ ব প্রদান করতে আগ্রহী নন। সে কারণেই সরকার এই ইসলামি বন্ড চালুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মি. পাইন বলেছেন, সাধারণত ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ ঋণ নেয়, সেটি মূলত নানা ধরণের বন্ড বিক্রির মাধ্যমে উত্তোলন করে।

এখন ইসলামী বন্ড চালু হলে সেটি হবে সরকারের অর্থ সংগ্রহের নতুন একটি উৎস, যা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে। বাংলাদেশের নাগরিক যেকোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকসমূহ সুকুক কিনতে পারবে। সাধারণ বন্ডে ইসলামি ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন একজন বিনিয়োগকারী। কিন্তু বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা নেই। সুকুক হবে পাঁচ বছর মেয়াদি, এবং ছয় মাস অন্তর মুনাফা পাবেন একজন বিনিয়োগকারী। মুনাফার প্রাক্কলিত হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৬৯ শতাংশ।

মি. পাইন বলেছেন, “দেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর স্কিম যেমন ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট বন্ড চালু রয়েছে, তার মুনাফার হার ৩.৬৯ শতাংশ। এর সঙ্গে এক শতাংশ যোগ করে সুকুকের প্রাথমিক হার নির্ধারণ করা হয়েছে।”
সাধারণ বন্ডের সঙ্গে ইসলামি বন্ডের পার্থক্য কী?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা শেখ বলেছেন, সাধারণ বন্ডের সঙ্গে সুকুকের মূল পার্থক্য হচ্ছে এটি পুরোপুরি ইসলামি রীতি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। এর মানে হচ্ছে এতে প্রচলিত বন্ড বা সঞ্চয় স্কিমের মত সুদের ব্যবহার থাকবে না। সুদের হার নির্দিষ্ট করা থাকে, কিন্তু মুনাফার হার আগে থেকে নির্ধারণের উপায় নেই। সেটি বাৎসরিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের আয়-ব্যয়ের ওপর নির্ধারিত হয়।

অধ্যাপক হাসিনা শেখ বলেছেন, “প্রচলিত বন্ড বা সঞ্চয়পত্রে সুদের হার নির্দিষ্ট থাকে, বিনিয়োগকারী যে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তার ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে অর্থ লাভ করেন।
কিন্তু সুকুকের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট হারে কোন অর্থ পাবেন না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের আয় ও মুনাফা, যখন যেমন হবে, তার অংশীদারিত্ব লাভ করবেন।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের মি. পাইন বলেছেন, ইসলামি বন্ড হবে ইজারা ভিত্তিক মানে নির্দিষ্ট প্রকল্প ভিত্তিক, কিন্তু সাধারণ বন্ডের ক্ষেত্রে তা হয় না।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যেমন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ এর সম্পদের বিপরীতে ছাড়া হচ্ছে এই সুকুক। যিনি এতে বিনিয়োগ করবেন, তিনি এই প্রকল্পের মালিকানার মানে ওই প্রকল্পের যাবতীয় সম্পত্তির অংশীদার হয়ে যাবেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।”

বাংলাদেশ ব্যাংক চার হাজার কোটি টাকা করে দুই দফায় বিনিয়োগকারীদের কাছে সুকুকের সার্টিফিকেট বিক্রি করবে। বিপরীতে তারা মুনাফা পাবে। এর ফলে সুকুকে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেবল কোন নির্দিষ্ট অংকের হারে সুদ পাবেন না। বরং তিনি ওই প্রকল্পের প্রাক্কলিত আয় এবং মুনাফার অংশীদার হবেন। সূত্র : বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/